এলপিজি ব্যবহারকারীদের বীমার আওতায় আনার সুপারিশ

ঝুঁকিপূর্ণ এলপিজি বোতল

তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ব্যবহারকারীদের বীমার আওতায় আনা’র সুপারিশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এলপিজি উদ্যোক্তাদের ভোক্তার নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে হবে।
জ্বালানি বিভাগের এক প্রতিবেদনে এলপিজি ব্যবহারকারীদের বীমার আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়। আজ রোববার  জ্বালানি বিভাগে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রত্যেক কোম্পানি ভোক্তাদের নিবন্ধন করবে। সেখানে তাদের তথ্য থাকবে। যদি কোন দুর্ঘটনা হয় তবে সেই তথ্য অনুযায়ি ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
এসময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, জ্বালানি সচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের উপসচিব (অপারেশন-২) আকরামুজ্জামান প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

প্রতিবেদনে ব্যবহারকারীদের সর্তক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বলা হয়, সিলিন্ডারের গায়ে খোদাই করে লেখা মেয়াদ দেখে বোতল ব্যবহার করতে হবে। নির্দিষ্ট সময় পরপর বোতল পরীক্ষা করতে হবে। আধুনিক নিরাপদ রেগুলেটর ব্যবহার করতে হবে। তিন বছর পরপর রেগুলেটর ও প্রতিবছর একবার হোস পাইপ পরিবর্তন করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, রান্নার কাজে প্রচুর এলপিজি ব্যবহার হচ্ছে। সরকারের নীতিমালার কারণে এলপিজির ব্যবহার গত নয় বছরে ৮০০ গুণ বেড়েছে। ব্যবহার বাড়লেও নিরাপত্তার যথাযথ  সূচক মানা হচ্ছে না। দুঃখজনক হলেও সত্য সম্প্রতি কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে। কোনও অবস্থাতেই দুর্ঘটনাও কাম্য নয়।