চুলা থেকে যাতায়াত এমনকি পণ্যের দামও বাড়বে

গ্যাসের দাম বাড়ানোর ফলে বাড়বে ঘরের চুলা থেকে শুরু করে বাজার, যাতায়াতসহ যা একটি সাধারণ পরিবারের প্রয়োজন তার সব কিছুর দামই। গ্যাসের দাম না বাড়িয়ে এলপিজির দাম কমালে সরকারের ভর্তুকির বোঝা কমতো। গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিষয়ে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ শামসুল আলম এ মন্তব্য করেন।
গত বৃহস্পতিবার সব ধরনের গ্যাসের দাম দুইধাপে ২২ দশমিক ৭৩ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। প্রথম ধাপ ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে। দ্বিতীয় ধাপ কার্যকর হবে ১ জুন থেকে।
শামসুল আলম বলেন, সরকার গ্যাসের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করেছে কিন্তু সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করেনি। এই দাম বাড়ার অজুহাতে বেড়ে যাবে বাসাভাড়া, বাড়বে বাস ভাড়া, পরিবহণের খরচ বাড়ার কারণে পণ্যের দাম বাড়বে, বাড়বে পুরো জীবনযাত্রার ব্যয়।
তিনি বলেন, এ দাম ভোক্তাদের দিশেহারা করে দেবে। সরকার ঘাটতি দেখিয়ে ভর্তুকি কমানোর চেষ্টা করছে। এই চেষ্টার ভার চাপিয়েছে সাধারণ মানুষের ঘাড়ে। যা এক ধরণের জুলুমের পর্যায়ে গেছে। শামসুল আলম বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোর আগে যদি এলপিজির দাম কমাতো তাহলে এই সমস্যার সৃষ্টি হতো না। অনেক দেশের সরকার সস্তায় এলপিজি দিচ্ছে। ফলে পাইপলাইনের গ্যাসের ব্যবহার এমনিতেই কমে গেছে। পাইপলাইনের গ্যাসের দাম বাড়ানোর ফলে কেউ এলপিজিতে যাবে না। কারণ এলপিজির বাজার এখন পর্যন্ত সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। কম দামে জ্বালানি সরবরাহ করা গেলে গ্রামের রান্নার ক্ষেত্রে এক ধরনের বিপ্লব ঘটে যেতে পারতো।