বিকল্প উপায়ে বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর উদ্যোগ: ঈদের ছুটি বাতিল

আমদানি করা কয়লা দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থাপনায় বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এদিকে বিদ্যুৎ ও কয়লা খনি সংশ্লিষ্ঠদের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ও তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেন। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই পুর্ণমাত্রায় কয়লা উৎপাদন করার নির্দেশও দেয়া হয়েছে। বড়পুকুরিয়ায় গিয়ে কয়লা খনি ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দ্রুত উৎপাদন শুরুর কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছেন জ্বালানি সচিব, বিদ্যুৎ সচিব, পিডিবি ও পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান। বৈঠকে কয়লার মজুদ নিয়েও বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত পর্যবেক্ষণ করেন তারা। কয়লা খনির চীনা ও দেশী প্রকৌশলীদের অবিলম্বে উৎপাদন শুরুর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরিদর্শণ শেষে বিদ্যুৎ সচিব আহমদ কায়কাউস সাংবাদিকদের বলেন, দেশে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর সক্ষমতা আছে।বাংলাদেশে যত বিদুৎ কেন্দ্র রয়েছে এবং বিদুৎ উৎপাদন হচ্ছে, তাতে চাহিদা মিটানোর সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। রংপুর বিভাগের আট জেলায় এখন ঘাটতি রয়েছে প্রায় দেড়শ মেগাওয়াট, সেটা সর্বোচ্চ চাহিদার সময়ে।সিরাজগঞ্জে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে। এতে ঘাটতি কমে এসেছে বলে তিনি জানান। জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুমিন বলেন, খনির মজুদাগারে যে কয়লা থাকার কথা তা নেই। তারা সিস্টেম লসের কথা বলছে; আমরা কোনো কথা বিশ্বাস করছি না। তদন্ত করছি, মামলা হয়েছে, দুদক তদন্ত করছে, তদন্তে যা বেরিয়ে আসবে সেভাবেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহ বলেন, চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কয়লা উত্তোলনের বিষয়ে কথা হয়েছে। আশা করছি আগামী সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে খনি থেকে পুরোদমে কয়লা উৎপাদনে যাওয়া সম্ভব হবে।চীনা শ্রমিক ও বাংলাদেশি শ্রমিকরা নিজেরাই ছুটি বাতিল করে কাজে যোগদান করেছেন। এতে দ্রুত সময়ের মধ্যেই কয়লা উৎপাদনে যাওয়া সম্ভব।