আশুগঞ্জ-ময়মনসিংহ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন সংস্কার হচ্ছে: লোডশেডিং হবে

রাজধানীর হাতিরঝিল দিয়ে যাওয়া বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন

আশুগঞ্জ-ময়মনসিংহ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের সংস্কার কাজ শুরু হচ্ছে শুক্রবার। আগামী একমাস এই কাজ চলবে। এতে সংশ্লিষ্ঠ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি হবে।
উন্নত সেবা দেয়ার জন্য সাময়িক এই সমস্যা বলে জানিয়েছেন পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির প্রকৌশলীরা।
এই সঞ্চালন লাইনে বিদ্যুৎ সরবারহ ক্ষমতা ২০০ মেগাওয়াট থেকে বেড়ে ৩০০ মেগাওয়াট হবে।
সংস্কার চলাকালীন ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কম হবে।

ময়মনসিংহ-আশুগঞ্জ ১৩২ কেভি ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইনের আশুগঞ্জ-কিশোরগঞ্জ অংশের সার্কিট-১ এর সংস্কার করা হবে। এ সময় ময়মনসিংহ-আশুগঞ্জ ১৩২ কেভি ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইনের সার্কিট- ১ সঞ্চালন লাইন বন্ধ থাকবে। ফলে ময়মনসিংহ গ্রিড উপকেন্দ্রে ৭৫ থেকে ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবারহ কমে যাবে। যদিও বিকল্প ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখা হবে।

বৃহত্তর ময়মনসিংহ বিভাগের ছয় জেলায়  ময়মনসিংহ গ্রিড উপকেন্দ্রে ৮৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবারহ করা হয়। এর মধ্যে আশুগঞ্জ গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে ১৩২ কেভি ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে ময়মনসিংহ গ্রিড উপকেন্দ্রে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবারহ করা হয়। সার্কিট-১ সঞ্চালন লাইন বন্ধ করা হলে ৭৫ থেকে ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবারহ কমে যেতে পারে।

গফরগাঁও বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এজেডএম আনোয়ারুজ্জামান বলেন, গফরগাঁও অফিসের আওতায় ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। সংস্কার কাজ চলাকালীন সময় ১০ থেকে ১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবারহ করা হতে পারে। সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত লোডশেডিং দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। বিষয়টি
সর্তক থাকতে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অবগত করানোর জন্য মাইকিং করে এবিষয় প্রচার করা হচ্ছে।