আসন্ন সেচে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে আড়াই হাজার মেগাওয়াট

আসন্ন সেচ মৌসুমে আড়াই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে। গত সেচ মৌসুমে চাহিদা ছিল ১১ হাজার মেগাওয়াট। এবার হবে ১৩ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। সে সময় বিদ্যুৎ উৎপাদনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্যাস দেয়া হবে।

বিদ্যুৎ বিভাগে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রনালয়ের বৈঠকে এই তথ্য দেয়া হয়েছে। আজ মন্ত্রনালয়েন সভাকক্ষে এই বৈঠক হয়। এতে সভাপতিত্ব করে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

বৈঠকে জানানো হয়, প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত সেচ মৌসুম থাকে। এ সময় বিদ্যুতের অতিরিক্ত চাহিদা থাকে। গত সেচ মৌসুমে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল প্রায় ১১ হাজার মেগাওয়াট; যা ২০১৯ সালের সেচ মৌসুমে বেড়ে হবে ১৩ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। এ জন্য বিদ্যুতে গ্যাসের চাহিদা হবে ১৪০ কোটি ঘনফুট।

বৈঠকে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ঠ মন্ত্রণালয় ও/বিভাগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বিদ্যুৎ সচিব বলেন, কৃষিকে অগ্রাধিকার দিয়ে আমাদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। এ সময় বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ি হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

সভায় জানানো হয় মোট অনুমোদিত চার লাখ ১৬হাজার ২৩১টি বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্পের জন্য দুই হাজার ৪০৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে।

সেচ পাম্পগুলোতে রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পিডিবি‘র চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ, আরইবি‘র চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) মঈন উদ্দিন ও পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।