উন্নত দেশ হতে হলে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে

উন্নত দেশ হতে হলে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আর তা নিশ্চিত করতে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
মঙ্গলবার দেশের জ্বালানি নিরাপত্তার বিষয়ে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি সান আয়োজিত ‘জ্বালানি নিরাপত্তা ও ভিশন ২০৪১’  র্শীষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা এসব মতামত দেন।
এতে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে কিংবা ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যেতে সবার আগে জ্বালানি নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তামিম বলেন, কয়লা আমদানিতে গুরুত দেয়া উচিত। এলএনজি আমদানির বিকল্প হিসেবে সরকারকে ভূমি ও সমুদ্রে ব্যাপকভাবে জ্বালানি অনুসন্ধান চালানো পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এটা আমাদের মত দেশের জন্য অনেকটা ব্যয় সাশ্রয়ী হবে। নিজেরা আত্মনির্ভরশীল জাতি হতে পারবো।
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অর্জন ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। ডেইলি সান সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরীর সভাপত্বিতে ও নির্বাহী সম্পাদক শিয়াবুর রহমান শিহাবের সঞ্চালনায়  ডেইলি সানের কনফারেন্স রুমে এ গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচকরা বলেন, দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির ধারাকে অব্যাহত রাখার স্বার্থে জ্বালানি উৎপাদন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। তারা ভবিষ্যৎ জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থলভাগ এবং সাগরে গ্যাস অনুসন্ধানে গুরুত্বারোপ করেন।

জ্বালানির মূল্য যৌক্তিক ও সহনীয় রাখতে জ্বালানি মিশ্রণ বহুমুখী করা, প্রাথমিক জ্বালানি সরবরাহে প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এলএনজি, এলপিজি, কয়লা, স্থল এবং অগভীর-গভীর সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধান ও অবকাঠামো নির্মাণের ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন বক্তারা।

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানির অপরিহার্য উল্লেখ করে তারা আরো বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের চাহিদা মেটাতে দক্ষ মানবসম্পদ একটি বড় প্রতিবন্ধকতা এবং তা দূরীকরণের জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নায়ন বোর্ড (পিডিবি) চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ, এফবিসিসিআিইয়ের সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাছির, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি জেষ্ঠ্য সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশ অটো রি-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো: শহিদুল্লাহ, বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি গোলাম রাব্বানী, বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক উজ্জ্বল কান্তি ভট্টাচার্য, রুপান্তরিত প্রকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো: কামরুজ্জামান, কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আবুল কাশেম, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এর সদস্য মো ফখরুজ্জামান ও পরিচালক কাজী আবসার উদ্দিন আহমেদ বক্তব্য দেন।