এবছরই জ্বালানি ঘাটতি কমবে: প্রতিমন্ত্রী

এবছরই জ্বালানি ঘাটতি কমবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুর হামিদ।

আজ সচিবালয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি মন্ত্রনালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে জ্বালানি সচিব আবু হেনা মো রহমাতুল মুনিমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্যাসের মজুদ কমতে শুরু করেছে।
তিতাসের কয়েকটা গ্যাসক্ষেত্রে মজুদ কমে আসতে শুরু করেছে। নতুন আবিস্কার না হলে এবছর থেকে আমাদের গ্যাস উৎপাদনও কমতে থাকবে।

আগে থেকেই ধারণা করেছিলাম ২০১৮ তে এসে গ্যাসের মজুদ কমে যাবে। এরই মধ্যে কমে যেতে শুরু করেছে। এ জন্য জ্বালানি আমদানির দিকে নজর দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি দেশের মধ্যে অনুসন্ধান জোরদার করা হচ্ছে, সেখানেও কিছু গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে।

বছরে দুই বিলিয়ন ডলারের জ্বালানি আমদানির প্রয়োজন পড়বে। এতে ডলার রির্জাভে কোনো প্রভাব পড়বে কি-না সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দুই বিলিয়ন ডলার কিছুই না।  বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। এই দুই বিলিয়নের সুফল পড়বে ২০ গুণ। এতে কোনো সমস্যা হবে না।

তিনি বলেন, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি ঘটনায় তদন্ত চলছে। একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকেও উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চলছে। প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।  গত দিনে যারা দায়িত্বে ছিলেন, এমনকি নীরিক্ষকের গাফিলতি থাকলেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। আগামী সপ্তাহে ওই তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া যাবে বলে তিনি জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বড়পুকুরিয়ায় বড় আকারে কয়লা তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনটে সিদ্ধান্তের উপর এটা নির্ভর করছে। সেখানে বসবাস করাদের পুনবাসন, পরিবেশ আর পানি ব্যবস্থাপনা।

বৈরী আবহাওয়া এবং পাইপ লাইনে সমস্যার কারণে এলএনজি আসতে দেরি হচ্ছে। ৯ই আগস্টের পর যে কোন সময় এলএনজি আসা শুরু হবে বলে তিনি জানান। এলএনজি আসতে দেরি হওয়াতে বাংরাদেশের কোন লোকসান হবে না বলে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা পরীক্ষামূলক আনা হয়েছে। এর দায় আমাদের না।

গ্যাসের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন,  আশা করি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) কোনও হঠকারি সিদ্ধান্ত নেবে না। গ্যাসের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা হবে।
এলপিজি এর দাম নিয়ন্ত্রনেও উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা আন্তর্জাতিক বাজারের উপর নির্ভর করে। তবুও গ্রাহকদের যাতে বেশি দাম দিতে না হয় সে জন্য উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এলপিজি এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে বলে তিনি জানান।