কার্বন বিক্রি করে গ্যাসখাতে প্রথম অর্থ আয়

কার্বন বিক্রি করে গ্যাসখাতে প্রথমবারের মত অর্থ পেল তিতাস গ্যাস। কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে ডেনমার্কের কাছ থেকে এই অর্থ পাওয়া গেছে। পরিবেশ বান্ধব উপায়ে গ্যাস সরবরাহ করায় কার্বন নিঃসরণ কম হয়েছে। আর এই কম কার্বন নিঃসরন হওয়ার সত্ত্ব বিক্রি করা হয়েছে। এজন্য ১লা সেপ্টেম্বর প্রথম কিস্তির ১৮ হাজার ৩৬৫ ইউরো পেয়েছে তিতাস।
তিতাস সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ভবিষ্যতে এই অর্থের পরিমান আরও বাড়বে বলে জানা গেছে।
উন্নত দেশগুলো কার্বন নিঃসরণ না কমিয়ে উন্নয়নশীল দেশের উপর চাপিয়ে দেয়। উন্নয়শীল দেশ কার্বন নিঃসরণ কমালে তার বিপরীতে অর্থ দিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে দেয়। নিজে না করে অন্যকে দিয়ে কার্বন নিঃসরণ কমায়। বাংলাদেশ যত টুকু কার্বন দূষণ কমালো ততটুকু ডেনমার্ক না কমিয়ে তার সত্ত্ব কিনে নিল। প্রায় সকল উন্নত ও উন্নয়শীল দেশ এধরণের চুক্তি করে।
তিতাস গ্যাস সূত্র জানায়, গ্রীন হাউস গ্যাস কমানোর জন্য তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি. (তিতাস গ্যাস) এবং ডেসমার্কের এনই ক্লাইমেট এসোসিয়েশন এবছরের মার্চ মাসে চুক্তি করে। চুক্তির আওতায় ক্লিন ডেভেলপমেন্ট মেকানিজম (সিডিএম) প্রযুক্তির মাধ্যমে ভূ-উপরিভাগে স্থাপিত গ্যাসের স্থাপনা থেকে গ্রীন হাউস গ্যাস কমানো হয়েছে। প্রকল্পটি জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনে রেজিষ্ট্রি করা হয়। এ চুক্তির মাধ্যমে উন্নত দেশ উন্নয়নশীল দেশ থেকে কার্বন নিঃসরণ ইউনিট কিনে নেয়।
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক  গ্যাস খাতে এটি প্রথম ও একমাত্র সিডিএম প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তিতাসের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস লিকেজ বন্ধ করা হয়েছে। প্রাথমিক প্রাক্কলন অনুযায়ী প্রকল্পটির আওতায় কোম্পানীর স্থাপনাগুলো থেকে প্রতিবছর চার দশমিক ৩৮ মিলিয়ন মেট্রিকটন সমপরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ কম হবে।