কিছু আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে

আবাসিক গ্রাহকদের জন্যও গ্যাস দিতে কিছুটা নমনীয় হচ্ছে কর্তৃপক্ষ।কিছু আবাসিক গ্রাহককে গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে।ঢালাওভাবে দেয়া হবে না।
এবিষয়ে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এই নির্দেশনা এখনও বিতরণ কোম্পানিগুলোতে পাঠানো হয়নি।চূড়ান্ত করা হয়নি সংযোগ দেয়ার নিদিষ্ট নির্দেশনা। তবে এই সুযোগ দীর্ঘদিন নাও থাকতে পারে বলে জানা গেছে।
একই ভবনে যারা অর্ধেক ফ্লাটে গ্যাস পেয়েছেন কিন্তু অন্যগুলোতে নেই তারাই অগ্রাধিকার পাবেন। এরমধ্যেও যারা আবেদন করে আছেন তারা আরও অগ্রাধিকার পাবেন। অর্থাৎ যাদের সংযোগ আছে কিন্তু চুলার সংখ্যা বাড়াতে চান তাদের নতুন গ্যাস দেয়া হবে। যেসব বহুতল ভবনে ইতিমধ্যে সংযোগ আছে।কিন্তু ভবনের সম্প্রসারিত অংশ বা বর্ধিত ফ্ল্যাটগুলোতে গ্যাস নেই সেগুলোতেও সংযোগ দেয়া হবে।
তবে আবাসিক-এ গ্যাস দিতে বাধ্যবাধকতা থাকলেও শিল্পে থাকবে না।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, কিছু আবাসিক গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে। তবে তা সকলকে নয়। তিনি বলেন, আবাসিক খাতে সম্পূর্ণভাবে নতুন সংযোগ দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।যারা ইতিমধ্যে সংযোগের জন্য আবেদন করে ব্যাংকে টাকা জমা দিয়েছেন তাদেরকে দেয়া হবে। এছাড়া যেসব ভবনের কিছু ফ্ল্যাটে সংযোগ আছে এবং কিছু ফ্লাটে নেই সেগুলোর বাকিগুলোতে সংযোগ দেয়া হবে। ঢালাওভাবে নতুন সংযোগ দেয়া যাবে না। তবে শিল্পে গ্যাস সংযোগের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। যেখানে শিল্প এলাকা সেখানেই গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে।

এলএনজি আসায় গ্যাস সংকট কাটবে। সেই বিবেচনায় আবাসিক এ ও গ্যাস দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এখন আবাসিকে গ্যাস সংযোগ দেয়া পুরোপুরি বন্ধ আছে।
গ্যাস সরবরাহকারী ছয় কোম্পানিতে আবাসিক এর জন্য প্রায় দেড় লাখ আবেদন জমা আছে। এদের অনেকে চাহিদাপত্রও পেয়েছেন। কেউ কেউ বাসাবাড়িতে পাইপলাইনও বসিয়ে ফেলেছিলেন।
২০০৯ সাল থেকে আবাসিক-এ গ্যাস সংযোগ দেয়া বন্ধ আছে। ২০১৪ সালে জাতীয় নির্বাচনের আগে নতুন সংযোগ দেয়ার নিষেধ শিথিল করা হয়েছিল। তখন অনেক গ্রাহক সংযোগ পেয়েছিল। সে সময় অনেকে নতুন আবেদনও করেছিল। যারা এখনও সংযোগ পাননি।