গ্যাসের দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা নেই: বাড়ালেই হরতাল

এখন গ্যাসের দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা নেই। গ্যাসের দাম বাড়ালেই হরতাল দেয়া হবে।
রোববার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ কথা বলেন। ‘নতুন করে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি না করার ঘোষণার দাবি এবং গ্যাসখাত উন্নয়নে নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে নাগরিক কমিটি।
বক্তারা বলেন, উদ্বৃত্ত কিংবা ঘাটতি থাকা উভয় ধরনের কোম্পানিই সরকারের। তাই এক কোম্পানির উদ্বৃত্ত দিয়ে অন্য কোম্পানির ঘাটতি মেটানোই হবে যৌক্তিক। শুধু জনগণের উপর খরচের বোঝা বাড়ানো উচিত হবে না।
বৈঠকে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। মুনাফা অর্জন করা বা ব্যবসায় করা সরকারের কাজ নয়। দাম বাড়ানর সিদ্ধান্ত হবে গণবিরোধী। তিনি বলেন, গ্যাসের দাম যেদিন বাড়ান হবে সেদিন থেকেই হরতাল দেওয়া হবে। তবে এটি গদি ভাগাভাগির হরতাল না। জনগণকে নিয়ে প্রতিরোধের হরতাল।
সভাপতির বক্তব্যে কলামলেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ান হলে জনগণকে নিয়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। সরকারের লোকজন মনে করে তারাই সব বোঝে, জনগণ কিছুই বোঝে না। এমন ভাবা ঠিক নয়। গ্যাসের দাম বাড়ান হলে সবকিছুরই দাম বাড়বে। এতে  জনগণ সবদিক থেকে ভোগান্তিতে পড়বে। জনগণের ওপর নতুন ভোগান্তি ও খরচের উপদ্রব তৈরি করা উচিত হবে না।

কনজ্যুমার্স্ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, বিইআরসির শুনানিতে  ভোক্তাদের পক্ষে গ্যাসের দাম না বাড়ানর ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেছি। এরপরও শোনা যাচ্ছে, গ্যাসের দাম বাড়াতে হিসাব-নিকাশ চলছে। এটি অযৌক্তিক ও  জনস্বার্থবিরোধী। গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্পাদনে নিয়োজিত জাতীয় কোম্পানিগুলোর সার্বিক সক্ষমতা আইওসি’র মানে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে কৌশলগত পরিকল্পনা করতে হবে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির পরিবর্তে তেলের দাম কমান নিয়ে চিন্তা করা দরকার।
বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক এম এম আকাশ, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।