চট্টগ্রামে হবে বেইজ অয়েল উৎপাদনকারী শোধনাগার

চট্টগ্রামে স্থাপন করা হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির  বেইজ অয়েল উৎপাদনকারী  শোধনাগার। লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড, চট্টগ্রাম  এই শোধনাগার স্থাপন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাটর্নাস (সিইপি) এর সাথে চুক্তি করেছে।
এটা বাংলাদেশে প্রথম এবং একমাত্র বেইজ অয়েল উৎপাদনকারী শোধনাগার, যা লুব-ওয়েল ও রিফাইনারী পণ্য কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে বেইজ অয়েল উৎপাদন করবে।
এ বিষয়ে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাটর্নাস এর প্রেসিডেন্ট জসুয়াপার্ক বলেন, এখানে সিইপি প্রযুক্তি শোধানাগার স্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ আর্ন্তজাতিক বেইজ অয়েল উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে অর্ন্তরভূক্ত হতে যাচ্ছে।
শোধনাগারটি কর্নফুলী নদীর তীরের পাশে জুলদায় ৫০ হাজার বর্গমিটার জায়গার উপর স্থাপিত হবে। এছাড়া আরো ৫০ হাজার বর্গমিটার জায়গায় আর্šÍজাতিক মানের  ট্যাংক র্টামিনাল থাকবে। এর মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থান ও স্থানীয় আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে বলে আশা করছেন কর্তৃপক্ষ।
লুব-রেফ বাংলাদেশ লিমিটেড ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাটর্নাস (সিইপি) মধ্যে অনুষ্ঠিত চুক্তি অনুযায়ী  স্থাপিত শোধনাগার বছরে ৬৫ হাজার মেট্রিকটন কাঁচামাল ব্যবহারের মাধ্যমে প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিকটন বেইজ অয়েল উৎপাদন করবে। এতে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার হবে। সিইপি ক্যানসাস, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিলে এই ধরনের প্লান্ট স্থাপন করেছে। একই ধরণের শোধানাগার সৌদি আরবে র্নিমানাধীন আছে।
গত ২রা মার্চ রাজধানির দি ওয়েস্টিন হোটেলে প্রযুক্তি হস্থান্তর চুক্তি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ একক্রিডিটেশন বোর্ডের (বিএবি) মহাপরিচালক মো: আবু আব্দুল্লাহ,  আমেরিকান দূতাবাসের অর্থনৈতিক কর্মকর্তা এ্যার্ডওয়াডো গারসিয়া,  লুব-রেফ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফসহ অন্যরা।

মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, এই পরিশোধন কেন্দ্র দেশের আনুমানিক শতকরা ৫০ ভাগ বেইজ অয়েল আমদানী কমিয়ে আনবে। বর্তমানে শতকরা শতভাগ বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়।