তেল ও গ্যাসের দাম এখন বাড়বে না

এখনই জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম বাড়বে না। সরকার ভর্তূকি দিয়েই এবছর তেল ও গ্যাসের চাহিদা পূরণ করবে।
সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি তেল বিক্রি করে এতদিন লাভ করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)।২০১৪ সালের পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমে আসায় বিপিসির লাভ হতে থাকে। জ্বালানি খাত থেকে সরকার ভর্তুকিও তুলে নেয়। সেই লাভের অর্থ দিয়ে এখনকার ভর্তূকি মেটানো হবে। অতীতেও এমন ভর্তূকি দিয়ে দীর্ঘ দিন চলেছে বিপিসি।আর গ্যাসের দামও এখনই বাড়ানো হবে না।
সরকারের নীতি নির্ধারক পর্যায়ের একজন জানান, ডিসেম্বরে নির্বাচনকে সামনে রেখে এখনই জ্বালানির দাম বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে না। গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব এখনও বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে দেয়া হয়নি। দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়ার পর শুনানী হবে। তার পর গ্যাসের দাম বাড়বে। এখনই এই প্রক্রিয়া শুরু করলেও তা শেষ করতে জুন জুলাই মাস এসে যাবে। আর তখন জ্বালানির দাম বাড়ানো কঠিন হবে। আর এখনই উচ্চ দামে গ্যাস কেনে পেট্রোবাংলা। যে দামে গ্যাস কেনে তার চেয়ে কম দামে বিক্রি করে।জ্বালানি বিভাগে দেয়া প্রস্তাবে বিপিসি জানিয়েছে, বিশ্ববাজারে যে জ্বালানি তেলের দাম বেশি এজন্য বিপিসি’র প্রতিদিন ১০ কোটি টাকা ভর্তূকি দিতে হচ্ছে। আর ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিন অর্থবছরে বিপিসি ট্যাক্স-ভ্যাটসহ খরচ বাদে ১৫ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে।
৭ই ফেব্রুয়ারি জ্বালানি বিভাগে তেলের দাম বাড়ানোর যে প্রস্তাব বিপিসি দিয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম সাত টাকা এবং ফার্নেস অয়েলের দাম ১৩ টাকা করে বাড়ানোর দরকার। পেট্রোল অকটেনের দাম বাড়ানোর কথা বলা হয়নি।
গত বছরের জুনে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারল পরিশোধিত তেলের দাম ছিল ৪৭ ডলার। এখন ৭১ ডলার। এতে প্রতি লিটার ডিজেলে পাঁচ টাকা ২৪ পয়সা, কেরোসিনে চার টাকা ৭৪ পয়সা এবং ফার্নেস অয়েলে নয় টাকা ৮০ পয়সা ভর্তূকি দিতে হচ্ছে।
প্রথম পর্যায়ে প্রতিদিন ৫০ কোটি ঘনফুট করে তরল গ্যাস আমদানি করা হবে। দুই এক মাসের মধ্যে এই গ্যাস আসা শুরু হবে।