দাম সমস্যা নয়, গ্যাস চায় ব্যবসায়ীরা

দাম কোনো সমস্যা নয়, গ্যাস চায় ব্যবসায়ীরা। তরল বোতল অথবা পাইপলাইনে যেভাবে হোক অর্থনৈতিক উন্নয়ন শিল্পে গ্যাস দরকার।
আজ সোমবার রাজধানীর পেট্রোবাংলার কার্যালয় পেট্রোসেন্টারে এলএনজি আমদানি পরবর্তীতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিল্প/বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সরবরাহের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য মত বিনিময় সভায় ব্যবসায়ীরা এ কথা বলেন।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধানমন্ত্রী জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশনের চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম, বাণিজ্য সচিব শভাশীষ বসু, সিসিআইসি-এর চেয়ারম্যান শাহ মো. আমিনুল হক, পিডিবির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহ, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, ইনডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্ল্যান্ট এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট লতিফ খান, বিকেএমইএ-এর সাবেক ১ম সহ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট তপন চৌধুরী ও সিএনজি গ্যাস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারহান নূর বক্তব্য রাখেন।
সভায় নসরুল হামিদ বলেন, এলএনজি মিশ্রিত গ্যাসের ব্যবহার ও মূল্য নির্ধারণে দীর্ঘ মেয়াদি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা প্রয়োজন। টেকসই মূল্য ব্যবস্থাপনা থাকলে ব্যবসায়িদের পরিকল্পনা স্থির করতে সহজ হবে। গ্যাস খাতের দ্রুত পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন। ব্যবসায়িরা যেটুকু গ্যাস ব্যবহার করে যেন শুধু সেটুকুই বিল দেয়। পাইপলাইনে গ্যাসের চাপের সমস্যা দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ ও গ্যাস খাতের গ্যাস দেয়া ও এর দাম সংক্রান্ত দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করার জন্য পেট্রোবাংলাকে আহবান জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী, আজ এলএনজি আমদানি পরবর্তীতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিল্প/বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সরবরাহের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য মত বিনিময় সভায় বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সরকার এলএনজি বা গ্যাস নিয়ে ব্যবসা করবে না এবং ন্যায্য মূল্যে যেন ব্যবসায়িরা গ্যাস পায় তা নিশ্চিত করবে।
তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, সময়ের প্রেক্ষিতে গ্যাসের দাম বাড়লেও ব্যবসায়িরা মুনাফা করবে। ছোট পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো কো-জেনারেশন বা ট্রাই জেনারেশন করার উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রে, উৎপন্ন তাপের বিকল্প ব্যবহার করা গেলে সকলেই উপকৃত হবে।
সভায় জানানো হয়, ২০১৮ সালের এপ্রিলে এক্সেলারেট এনার্জি ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি, একই বছরের অক্টোবরে সামিট এলএনজি ৫০০, ২০১৯ সালের জুন মাসে রিলায়েন্স ৫০০, ২০২০ সালের জুন মাসে হংকং সাংহাই মানজালা ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আমদানি করবে। তাছাড়া কাফকো এবং সিইউএফএল- এর দুটি জেটি ব্যবহার করে দুটি ক্ষুদ্রাকৃতি গ্যাস প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট (এফএসআরইউ) স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে। এলএনজি সরবরাহের জন্য মোট ১৩টি আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রাথমিক প্রস্তাব আহবান করা হলে এর মধ্যে ১০টি প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক প্রস্তাব জমা দিয়েছে।
স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের জন্য পেট্রোনেট, ইন্ডিয়া, এইচওসি চায়না, সেম্পকর্প সিংগাপুর, পায়রা ও মহেশখালিতে মোট ৫টি স্থানে টার্মিনাল করার জন্য সমঝোতা চুক্তি করা হয়েছে।
এলএনজি ক্রয় বা আমদানির জন্য কাতারের রাশগ্যাস, ওমানের ওমান ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনার (ওটিআই), ইন্দোনেশিয়ার পারটোমিনা ও সুইজারল্যাণ্ডের এস্ট্রা অয়েলের সঙ্গেও সমঝোতা করা হয়েছে। সিঙ্গাপুরের গানভর কোম্পানি সঙ্গে মঙ্গলবার সমঝোতা চুক্তি করা হবে। ।