ন্যায়পরায়ণ লোড বরাদ্দ’র প্রস্তাবসহ সংসদে বিদ্যুৎ বিলের প্রতিবেদন

বিদ্যুৎ বিল-২০১৭ এর ওপর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রতিবেদন  উপস্থাপন করা হয়েছে।
আজ বুধবার সংসদে এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। প্রতিবেদনে বিল সংশোধিত আকারে পাসের সুপারিশ করা হয়।

বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সংস্কার, মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করা,  বিদ্যুৎ চুরি বন্ধ করা এবং এর জন্য অপরাধে নির্দিষ্ট দণ্ডসহ প্রয়োজনীয় বিধানের প্রস্তাব করে সংসদে বিল উত্থাপন করা হয়। গত ১৪ই নভেম্বর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিল উত্থাপন করেন।
১৯১০ সালের বিদ্যুৎ আইন রহিত করে নতুন করে এ বিল আনা হয়েছে। ফলে বিলে বিদ্যমান আইন রহিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিলে বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন, সরবরাহ ও বিতরণ ব্যবস্থার সংস্কার, উন্নত প্রযুক্তির প্রবর্তন ও ক্রয়-বিক্রয় এবং সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ জন্য প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ‘ইন্ডিপেনডেন্ট সিস্টেম অপারেটর’ প্রতিষ্ঠার বিধানেরও প্রস্তাব করা হয়। এ অপারেটর সিস্টেম চাহিদা অনুযায়ী ন্যায়পরায়ণতার ভিত্তিতে লোড বরাদ্দ করবে।
বিলে লাইসেন্স সরবরাহ এলাকায় বা লাইসেন্সের শর্তানুযায়ী সরবরাহ এলাকার বাইরে সরবরাহ লাইন স্থাপনে প্রয়োজনীয় পূর্তকর্ম সম্পাদন, রাস্তাসহ অন্যান্য স্থাপনার ওপর বা নিচ দিয়ে পূর্তকর্ম সম্পাদনে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দেয়ার বিধানের প্রস্তাব করা হয়।
বিলে বিদ্যুৎ লাইন বা প্ল্যান্ট পরিবর্তন, এরিয়্যাল লাইন স্থাপন, টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবাদানকারী সংস্থাকে নোটিশ, ভূগর্ভস্থ নর্দমাসহ বিশেষ এলাকায় সরবরাহ লাইন স্থাপন এবং পূর্তকর্ম সম্পাদন, ক্ষতিপূরণ প্রদান, পথের অধিকার, ভূমি অধিগ্রহণসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়া বিলে বিদ্যুৎ সরবরাহ, মিটার স্থাপন, সংরক্ষণ, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ ও পুনঃসংযোগ, সরবরাহ সাময়িক বন্ধ রাখা, সরবরাহ এলাকার বাইরে বিদ্যুৎ সরবরাহ, সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা, প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শক এবং পরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিধানের প্রস্তাব করা হয়।
বিলে বিদ্যুৎ চুরি, কৃত্রিম পদ্ধতি স্থাপন, বিদ্যুৎ অপচয়, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি চুরি অপসারণ বা বিনষ্ট, চুরির মালামাল দখলে রাখা, মিটার, পূর্ত কর্মে প্রতিবন্ধকতা ও অননুমোদিত ব্যবহার, বিদ্যুৎ স্থাপনার অনিষ্ট সাধনসহ অন্যান্য অপরাধের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট দন্ড প্রদানের বিধান রাখা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি ও কোম্পানির পক্ষ থেকে সংঘটিত অপরাধের জন্য শাস্তির বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।