পায়রায় হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র: সিমেন্সের সাথে সমঝোতা

আমদানি করা এলএনজি দিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে পটুয়াখালির পায়রায়। এর উৎপাদন ক্ষমতা হবে তিন হাজার ৬০০ মেগাওয়াট।
সরকারি কোম্পানি নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি এই কেন্দ্র করছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র করার জন্য আজ রোববার জার্মানির সিমেন্সের সাথে সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। বিদ্যুৎভবনে এই চুক্তি হয়।

সমঝোতা চুক্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বাংরাদেশে নিযুক্ত জার্মানির এম্যাসিডর ড. থমাস প্রিন্জ। সিমেন্সের দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুনীল মাথুর এবং নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএম খোরশেদুল আলম রোববার বিদ্যুৎ ভবনে এই সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
৩৬০০ মেগাওয়াটের এ বিদ্যুতকেন্দ্রে ১২০০ মেগাওয়াটের মোট তিনটি ইউনিট থাকবে। আমদানি করা এলএনজি এ কেন্দ্রে কীভাবে আনা হবে তা নিয়ে সমীক্ষা চলছে বলে জানানো হয়। ২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের এ প্রকল্পে ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন আসবে ঋণ থেকে। বাকি ৪০০ মিলিয়ন ডলার থাকবে স্থাবর সম্পদ।
বাংলাদেশে এটাই ইউরোপের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ হবে বলে জানান  তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খজি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, সিমেন্স মহেশখালিতে আরও একটি সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করবে। এ বিষয়ে পিডিবির সাথে সমঝোতা হবে।
দেশে এই মুহুর্তে ৫০০ মেগাওয়াটের বেশি উৎপাদন ক্ষমতার কোন বিদ্যুৎকেন্দ্র নেই। আমদানি করা কয়লা ভিত্তিক কয়েকটি কেন্দ্র করা হচ্ছে যার প্রতিটির ক্ষমতা হবে ১৩২০ মেগাওয়াট। কাজ চলতে থাকা এবং পরিকল্পনায় থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মধ্যে ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কেন্দ্রই সবচেয়ে বড়। সে হিসেবে সেক্ষেত্রে প্রায় তিনগুণ ক্ষমতার কেন্দ্র হচ্ছে পায়রাতে।
বর্তমানে পায়রায় চীনের সাথে যৌথভাবে ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করছে নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি। এর ২৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএম খোরশেদুল আলম বলেন, ৩৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৬০০ মেগাওয়াটের মোট ছয়টি ইউনিট হবে। আগামী জুনের মধ্যেই নির্মাণ কাজ শুরু হবে আশা করছি। এজন্য ১০০ একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে এই কেন্দ্র উৎপাদনে আসবে। এতে প্রায় আড়াই বিলিয়ন ডলার খরচ হবে। এর ৮০ শতাংশ ঋণ পাওয়া যাবে।

tawfiq e elahi and nosrul hamid