পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পুনর্বাসন উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পুনর্বাসন এলাকা

পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পুনর্বাসন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে শনিবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করবেন।
বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে যাদের জমি নেয়া হয়েছে, তাদের বাড়ি তৈরি করে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে এমন উদাহরণ এই প্রথম। সরকারের উন্নয়ন কাজে জমি অধিগ্রহণ হলে তার ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়। কিন্তু আবাসন নিশ্চিত করার উদাহরণ এটাই প্রথম। বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হওয়ার আগেই বাস্তুুচ্যুতদের আবাসন নিশ্চিত করা হলো।
১৩০ পরিবারের জন্য নতুন শহর করা হয়েছে। শহরের নাম দেয়া হয়েছে ’স্বপ্নের ঠিকানা’। এখানে আছে স্কুল, মাঠ, মসজিদ, কবরস্থান। অফিসসহ কমিউনিটি সেন্টার, কমিউনিটি ক্লিনিক ও কাঁচাবাজার। দুটো পুকুর আর ৪৮টা টিউবওয়েল। দেয়া হয়েছে প্রত্যেক বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ। স্বপ্নের ঠিকানায় ঢোকার শুরুতেই আছে দৃষ্টিনন্দন সড়ক। এছাড়া আবাসন এলাকায় সুন্দর রাস্তা ও ড্রেন করা হয়েছে।
এখানে দুই ধরণের বাড়ি করা হয়েছে। ছয় শতাংশ জমিসহ এক হাজার বর্গফুটের ৪৮টা বাড়ি। আর আট শতাংশ জমিসহ এক হাজার ২০০ বর্গফুটের ৮২টা বাড়ি। বাড়িগুলো আধাপাকা। পাকাবাড়ি কিন্তু টিনের ছাউনি।

বাংলাদশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড (বিসিপিসিএিল) এখানে ১৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করছ।আমদানি করা কয়লা দিয়ে এই কেন্দ্র হবে।
নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল), বাংলাদেশ এবং চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন (সিএমসি) এর যৌথ উদ্যোগে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি গঠন করে।
এছাড়া এছাড়া এই কোম্পানি এখানে তিন হাজার৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরও একটা কেন্দ্রর কাজ বাস্তবায়নাধীন আছে। আমদানি করা তরল গ্যাস দিয়ে এই কেন্দ্র হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে ৯৯৮ দশমিক ৭৭ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।