বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও এলএনজিতে বিনিয়োগ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সাথে মঙ্গলবার সচিবালয়ে মার্শা বার্নিক্যাট সাক্ষাৎ করেন

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও এলএনজিখাতে বিনিয়োগ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা এস. বার্নিক্যাট সাক্ষাৎ করতে এসে একথা জানান।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে তিনি সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় তারা পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এসময় বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস ও ইউএস কমার্স বিভাগের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ম্যালকম বার্ক উপিস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রদূত জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ও বেসরকারি খাতের কোম্পানি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত সম্পর্কে আগ্রহ বাড়ছে। এক্সিলারেট, সানএডিসন, জিই ইত্যাদিসহ কয়েকটি কোম্পানি জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে কাজ করতে চাচ্ছে। তিনি জানান চেনারিসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানি এলএনজি নিয়ে কাজ করতে ইচ্ছুক। জিই সহ সরকারি ও বেসরকারি কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ উৎপাদনেও আগ্রহ দেখাচ্ছে। তিনি মাতারবাড়ি, কক্সবাজার, পটুয়াখালি, চট্টগ্রাম, আশুগঞ্জ এলাকায় ৯ঐঅ গ্যাস টার্বাইন, স্টীম টার্বাইন, হিট রিকভারি স্টীম জেনারেটর ব্যবহার করে জিই বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ইচ্ছার কথা জানান। পোষণ করেছেন।

প্রতিমন্ত্রী, যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ খুবই কম। বিপুল সম্ভাবনাময় এ খাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়ার জন্য রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন। প্রতিমন্ত্রী এ সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বর্তমান, ভবিষ্যৎ ও সম্ভাবনা রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করে উৎপাদন, সঞ্চালন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সৌর, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ ইত্যাদি বিষয়ে বিনিয়োগের সম্ভাবনা তুলে ধরেন।বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাতে প্রতিবছর সাতে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ হচ্ছে। এ অঞ্চলেই বিনিয়োগের বিশাল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ নিয়ে আমেরিকা এগিয়ে আসলে উভয় লাভবান হবে।