বাংলাদেশ-ভারত জ্বালানি সংলাপ

জ্বালানি তেল আমদানি, তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) এবং তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সরবরাহ নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জ্বালানি সংলাপ হবে।
শনিবার হোটেল সোনারগাঁও এ এই জ্বালানি সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
ভারতের পেট্রোয়িলাম ও জ্বালানি সচিব কে ডি ত্রিপাথি এবং বাংলাদেশের জ্বালানি সচিব নাজিম উদ্দিন চৌধুরী স্ব স্ব দেশের নেতৃত্ব দেবেন।
গত বছর  ১৬ই জুন দিল্লিতে প্রথম বাংলাদেশ-ভারত জ্বালানি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
ভারতের নুমালিগড় তেল শোধনাগার থেকে বাংলাদেশ ডিজেল আমদানি করছে। গত বছর থেকে ডিজেল আমদানি শুরু করেছে বাংলাদেশ। এখন রেল ওয়াগানে করে ডিজেল আমদানি করা হচ্ছে। পরিকল্পনা অনুযায়ি ভবিষ্যতে এখানে পাইপ লাইন করা হবে। পাইপ লাইন ওয়েল ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) যৌথভাবে করবে।

ভারত বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে এলএনজি ও এলপিজি পরিবহন করতে চায়। এলএনজি পরিবহন করতে পাইপ লাইন করবে তারা। অন্যদিকে ভারত চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে আসাম, ত্রিপুরাসহ পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্যে এলপিজি পরিবহন করার প্রস্তাব দিয়েছে। এজন্য ভারত বাংলাদেশে যৌথ উদ্যোগে  এলপিজি প্লান্ট করার প্রস্তাব দিয়েছে। ভারতের পেট্রোনেট বাংলাদেশে এলপিজি প্লান্ট স্থাপন করতে চায়। ভারত এই প্রকল্পের জন্য চট্টগ্রামে ৪৫ একর জমি ইজারা নিতে চায়। তবে এখনই চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে ত্রিপুরায় বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে এলপিজি সরবরাহ করা হচ্ছে। গত বছর অনুষ্ঠিত সংলাপে এই বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়া হয়। ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশ ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে। এছাড়া শিগগির আরো ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ত্রিপুরা থেকে আমদানি শুরু হবে।