বিদ্যুতের দাম বাড়ানো নয় বরং কমানো সম্ভব

বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন নেই বরং কমানো সম্ভব। যে  বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কম তা বন্ধ রাখা হচ্ছে। আর বেশি দামেরটা সব সময় উৎপাদনে রাখা হচ্ছে। এর ফলে খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এটা কৃত্রিম।
আজ  বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ ভবনে কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ‌’বিদ্যুতের দাম কমানোর প্রস্তাব’ বিষয়ক আলোচনা সভার আয়োজন করে। সেখানে বক্তারা একথা বলেন।
আলোচনা সভায় ক্যাব এর পক্ষ থেকে ১৫দফা সুপারিশ করা হয়। বলা হয় ক্যাবের সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে বিদ্যুতের দাম কমে আসবে। এরমধ্যে অন্যতম সুপারিশ ছিল, কম খরচের বিদ্যুৎ অর্থাৎ পিডিবি’র কেন্দ্র থেকে নিয়মিত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেট্রোলিয়াম বিভাগের চেয়ারম্যান ম তামিম, পিডিবির চেয়ারম্যানসহ অন্যরা বক্তব্য দেন। ক্যাবের সভাপিত গোলাম রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
ক্যাবের জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, কৃত্রিম ঘাটতি দেখিয়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া গণশত্রুতার শামিল। যথাযথ পরিকল্পনার মাধ্যমে চললে দাম বাড়ানো প্রয়োজন হবে না। উল্টো দাম কমানো সম্ভব।
ড. ম তামিম বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে। মনে করি জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করে এখনই বিদ্যুতের দাম কমানো সম্ভব। বিইআরসির কাজ শুধু দাম বাড়নো নয়। দাম বাড়ানোর প্রস্তাব এলে তার যৌক্তিকতা বিচার করা উচিত। বিইআরসির ভুমিকা হওয়া উচিত রেফারির মতো। প্রয়োজন হলে ক্যাবের মতো প্রতিষ্ঠানের দাম কমানোর প্রস্তাবের ওপর শুনানি করা উচিত।
আলোচনার শুরুতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ফাহিম আল দ্বীন।