বিদ্যুতে বেসরকারিখাতের সবচেয়ে বড় বিদেশী বিনিয়োগ: সামিট ও জিই চুক্তি

সামিট কর্পোরেশন ও আমেরিকার কোম্পানি জেনারেল ইলেকট্রিক (জিই) যৌথভাবে মাতারবাড়িতে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে যাচ্ছে। আমদানি করা তরল গ্যাস (এলএনজি) দিয়ে এই বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবেক। এতে খরচ হবে তিন বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ২৫ হাজার কোটি ্টাকা। বিদ্যুৎখাতে বাংলাদেশে বেসরকারিভাবে এটা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ।
আজ বুধবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও-এ এবিষয়ে উভয়ের মধ্যে  সমঝোতা চুক্তি হয়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্র ও এলএনজি টার্মিনাল দুটোর জন্যই এই বিনিয়োগ করা হবে।
বিনিয়োগের বেশিরভাগই করছে সামিট। অর্থাৎ বিদ্যুৎকেন্দ্রর  প্রধান অংশীদার সামিট। জিই এখানে সম্পদ ও প্রযুক্তি অংশীদার।

সামিট ও জিই এর মধ্যে সমঝোতা চুক্তি সই অনুষ্ঠান
সামিট ও জিই এর মধ্যে সমঝোতা চুক্তি সই অনুষ্ঠান

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড.  তৌফিক-ই-ইলাহী  চৌধুরী, বীর বিক্রম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, জিই পাওয়ারের প্রেসিডেন্ট এন্ড সিইও রাসেল স্টোকস, সামিটের চেয়ারম্যান আজিজ খান, মিতসুবিশি কর্পোরেশনের ইনফ্রাস্ট্রাকচার বিজনেস ডিভিশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তেতসুজি নাকাগাওয়া  উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে তৌফিক ই ইলাহী বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের প্রত্যেক জনগণ বিদ্যুৎ সুবিধা পাবে। নসরুল হামিদ বলেন, আগামীতে বিদ্যুতে বড় ধরণের পরিবর্তন হবে। সঞ্চালন ও বিতরণখাতেও বেসরকারি বিনিয়োগ করার সুযোগ দেয়া হবে। আজিজ খান বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যুৎখাতের অংশীদার হতে পেরে আমরা গর্বিত। ২০২১ সালে সকলকে বিদ্যুৎ দেয়ার সরকারের যে লক্ষ তা এগিয়ে নিতে এই প্রকল্প বড় ভূমিকা রাখবে আশা করি।
১৩ই মার্চ সিংগাপুরে মিতস্যুবিশির সাথে সামিটের যৌথ চুক্তির ধারাবাহিকতায় জিই’র সাথে এই চুক্তি হলো।