বিদ্যুৎকেন্দ্রের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ

হ্যাকাররা সাইবার হামলা চালিয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন অচল করে দিতে পারে। কোন কোন ক্ষেত্রে কেন্দ্রের উৎপাদন প্রক্রিয়ার মধ্যে ঢুকে বিপর্যয় বয়ে আনতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় সেজন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
রোববার বিদ্যুৎ ভবনে এ বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় মার্কিন সংস্থা এমআইটি কানেকশন সায়েন্স সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত রাখার কৌশল উপস্থাপন করে। এতে বলা হয় প্রযুক্তির যথাযথ সংরক্ষণ প্রয়োজন। এর সঙ্গে প্রয়োজন দক্ষ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। কর্মশালায় প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম, জ্বালানি বিদ্যুৎ এবং খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, পিডিবি চেয়ারম্যান খালিদ মাহমুদ, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইনসহ বিদ্যুৎ বিভাগ এবং সংস্থা প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহম্মদ হোসেইন বলেন, সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে এখন আমাদের ভাবতে হচ্ছে। আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং বিতরণের পরিমান এখন বাড়ছে। কেউ যাতে সাইবার আক্রমণ না করতে পারে এজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কি কি বিষয় সংযুক্ত করা যায়, কোথায় কোথায় আক্রমণ হতে পারে তা চিহ্নিত করা এবং আক্রমণ হলে কিভাবে তা মোকাবেলা করা যাবে তাই আলোচনা হয়েছে।
কর্মশালায় বলা হয়, সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সার্বক্ষনিক নজরদারির মধ্যে রাখতে হবে। যখনই নতুন প্রযুক্তি আসবে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। যেসব সফটয়্যার বাইরের দেশ থেকে আসবে সেগুলো ব্যবহারে আরো সতর্ক হতে হবে। কোন কোন ক্ষেত্রে একটি পেনড্রাইভের মাধ্যমেও সিস্টেম থেকে তথ্য চুরি হতে পারে বা নতুন কোন কিছু প্রবেশ করতে পারে। এজন্য সতর্ক থাকার কোন বিকল্প নেই।
দেশের বিদ্যুতের উৎপাদন ও বিতরণের পরিমান ব্যাপকভাবে বাড়ছে। এখন গ্রিড এবং উৎপাদন পর্যায় সবখানেই নিয়ন্ত্রণ করা হয় সফটওয়্যারের মাধ্যমে। এসব সফটওয়্যারে সাইবার আক্রমণ বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। আগে ভাগেই সতর্ক থাকতে পারামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
জানা যায়, গত বছর ইউক্রেনে সাইবার আক্রমণ চালায় হ্যাকাররা। এতে সেখানের বিদ্যুৎ বিতরণে বিপর্যয় নেমে আসে। ২০১২ সালে ভারতের ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় নয়টি রাজ্য ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে অনেকে সাইবার আক্রমণকে দায়ি করে।