বিদ্যুৎ পাচ্ছে ৯২ শতাংশ মানুষ

বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন - এনার্জি বাংলা

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাচ্ছে। ২০০৯ সালের আগে এই হার ছিল ৪৭ শতাংশ।২০০৯ সালের পর উৎপাদনে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনের জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানিকে অগ্রাধিকার খাত হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০২১ সালের মধ্যে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে পথনকশা করা হয়।

পথনকশা অনুযায়ী ইতোমধ্যেই দেশের ২৫১টি উপজেলায় পুরোপুরি বিদ্যুৎ সরবরাহের আওতায় আনা হয়েছে। আরো ৫৫টি উপজেলাকে শিগগিরই পুরোপুরি বিদ্যুৎ সরবাহের আওতায় আনা হবে। এছাড়া, বাকি ১৫৪টি উপজেলা ২০১৯ সালের মধ্যে পুরোপুরি বিদ্যুৎ সরবাহের করা হবে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘২০২১ সালের মধ্যে প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ খুব শিগগিরই বিদ্যুতে পুরোপুরি আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন করবে।’

তিনি দেশবাসীকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য আন্তরিকভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করার আহ্বান জানান।

মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সরকার বর্তমানে দেশে ৯৯টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করেছে। ২০০৯ সালে যার সংখ্যা ছিল মাত্র ২৭টি এবং বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০ হাজার ৪৩০ মেগাওয়াট এবং বিদ্যুৎ সংযোগের সংখ্যা ৩ কোটি ১৫ লাখ।

এছাড়া ৫৩ লাখ সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে দেশের দুই কোটি মানুষকে বিদ্যুুৎ সরবরাহের আওতায় আনা হয়েছে এবং বর্তমানে ১৩ হাজার ৬৫৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন ৫৫টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে।

এ ছাড়া ৭ হাজার ৪৬১ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন ২৩টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য দরপত্র গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। পাশাপাশি সরকার ২০ হাজার ১৫৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন আরো ১৯টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

চলতি বছরের ১৯ শে সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৬২৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। সঞ্চালন লাইন সম্প্রসারিত হয়েছে ১১ হাজার ২৯৩ সার্কিট কিলোমিটার। বর্তমানে বিতরণ লাইনের সংখ্যা ৪ লাখ ৭৬ হাজার এবং গ্রিড সাব স্টেশন (এমভিএ) এর ক্ষমতা ৩৬,৯১২-তে পৌঁছেছে।

প্রতিবেশী দেশ থেকে ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে এবং বর্তমানে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৪৬৪ কিলোওয়াটে পৌঁছেছে।

এর পাশাপাশি বিদ্যুৎ খাতের উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থাকে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে দেশে ছয়টি উৎপাদন, একটি সঞ্চালন এবং পাঁচটি বিতরণ সংস্থা আছে।

প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ ২০০৯ সালের ১৭৪ কোটি ঘনফুট থেকে বেড়ে ২০১৮ সালে ২৭.০ কোটি ঘনফুটে দাঁড়িয়েছে।

https://youtu.be/EwfDVtqAvxw?t=4