বিদ‌্যুতের দামও বাড়বে: প্রতিমন্ত্রী

নসরুল হামিদ

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ‌্যুত খাতে গ‌্যাসের দাম বেড়েছে। বিদ‌্যুতের দামও সমন্বয় করতে চাই।

শুক্রবার রাজধানির শিশু একাডেমীতে এক অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভবিষ‌্যতে বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ‌্যুৎ বিতরণ করার লক্ষ‌্যে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। সুতরাং আমাদের অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করার মানসিকতাও থাকতে হবে।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গ‌্যাসের দাম বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি দিয়ে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশে ৩০-৩৫ লাখ গ্রাহক পাইপ লাইনে গ্যাস পায়, বাকি কোটি কোটি লোকের কথাও আমাদের চিন্তা করতে হবে। আমাদের দায়িত্ব হল সারা বাংলাদেশে আবাসিক খাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি দেওয়া, আমরা সেদিকেই যাচ্ছি।”

সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমরা ধীরে ধীরে পাইপলাইনে গ্যাস ব্যবহার থেকে সরে আসতে চাই, এলপিজির ব্যবহার বাড়াতে চাই এবং এলপিজির দাম সহনীয় রাখতে চাই।”

এর আগে ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে গ্যাসের দাম গড়ে ২৬ দশমিক ২৯ শতাংশ বাড়িয়েছিল শেখ হাসিনার সরকার। তখন বিদ্যুতের দামও ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ বাড়ানো হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “কিছু কিছু জায়গায় ভবিষ্যতে যে আমাদের এলএনজি আসবে সে দামের সাথে একটি সামঞ্জস্য তৈরি করতে হবে। এক বছর ধরে প্রস্তাব করছিলাম যে গ্যাস ও বিদ্যুতের দামে সমন্বয় করা দরকার। সামান্য হলেও এর দরকার ছিল  মনে করি।

তার দাবি, গ্যাসের দাম ‘খুব বেশি বাড়েনি’। “অতি সামান্য এটা। প্রথমে সাড়ে ৭ পারসেন্ট এবং পরবর্তীতে সাড়ে ৭ পারসেন্ট। ১৫-১৬% এর বেশি হবে না দুই ধাপে।’’

আরও বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছিল জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমরা যৌক্তিক ও সহনীয় পর্যায়ে রেখে আরও বেশি দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিলাম বিইআরসিকে। তারা এখনকার ইকোনমিক ভায়াবিলিটি দেখে, মানুষের আয়ের বৃদ্ধি অনুযায়ী এই সিদ্ধান্তে এসেছে।”

অর্থনীতিতে এই দাম বৃদ্ধির বিরূপ প্রভাব পরবে বলে মনে করেন কিনা- এ প্রশ্নে নসরুল হামিদ বলেন, “আমার মনে হয় এটি কোনোরকম বিরূপ প্রভাব ফেলবে না, সহনীয় পর্যায়েই থাকবে।”

বিভিন্ন এলাকায় গ‌্যাস সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এ সংকট থেকে বের হওয়ার উপায় হল- আপনারা পাইপ লাইন থেকে এলপিজিতে চলে যান।”

আগামীতে যানবাহন চালনার জন্য তরল গ‌্যাসসহ নতুন ধরনের ফুয়েল আমদানির পরিকল্পনার কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আগামীতে পরিবেশ বান্ধব ‘ইলেক্ট্রিক’ গাড়িও চলবে, সেজন‌্য প্রস্তুত হতে হবে।