বুধবার ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুৎ আসবে

এবার শুরু হচ্ছে ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুৎ আসা। বুধবার থেকে আপাতত ১০০ মেগাওয়াট আসবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ত্রিপুরা রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এক সাথে ভিডিও কনফারান্সের মাধ্যমে এই বিদ্যুৎ সঞ্চালন উদ্বোধন করবেন।
মঙ্গলবার বিদ্যুৎভবনে এ বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ একথা জানান। এ সময় বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মনোয়ার ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহম্মদ হোসেইন, পিডিবির চেয়ারম্যান শাহীনুল মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সকাল ১০টায় ঢাকায় শেখ হাসিনা ও দিলি­তে নরেন্দ্র মোদির একযোগে ত্রিপুরা-কুমিল­া সঞ্চালন লাইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এই বিদ্যুৎ আনতে ৫২ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন স্থাপন করা হয়েছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ অংশে ২৭ দশমিক আট কিলোমিটার ও ভারতে অংশে ২৪ কিলোমিটার।
ত্রিপুরা থেকে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সঞ্চালন শুরু হয়েছে গত ১৬ই মার্চ থেকে।

গত ১৫ই মার্চ ভারতের সাথে বিদ্যুৎ কেনা চুক্তি করে বাংলাদেশ। চুক্তি অনুযায়ি, ভারত অংশের সঞ্চালন খরচসহ প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম পাঁচ রূপি ৫০ পয়সা বা ছয় টাকা ৪৩ পয়সা। বাংলাদেশ অংশে আলাদা সঞ্চালন খরচ দিতে হবে। যে বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে তার নির্ধারিত (ক্যাপাসিটি) খরচ নেই। অর্থাৎ বাংলাদেশ যখন যতটুকু বিদ্যুৎ আমদানি করবে ততটারই বিল দিতে হবে। বিদ্যুৎ না আনলে কোনও বিল দেয়া লাগবে না।
এক প্রশ্নের উত্তরে নসরুল হামিদ বলেন, সঞ্চালন খরচসহ বিদ্যুতের দাম পড়ছে ছয় টাকা ৫০ পয়সার মতো। প্রাথমিকভাবে দাম বেশি বলে মনে হলেও যখন আরও বিদ্যুৎ আসতে শুরু করবে তখন এই দাম কোনো সমস্যা হবে না। এছাড়া ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সেটিও  বিবেচনা করতে হবে।
বর্তমানে ভারত থেকে বাংলাদেশের ভেড়ামারা দিয়ে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। এই ৫০০ মেগাওয়াটের মধ্যে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে নেয়া ২৫০ মেগাওয়াটের দাম প্রতি ইউনিট দুই রূপি ৪৬ পয়সা। বাকি ২৫০ মেগাওয়াট বেসরকারিভাবে নেয়া হচ্ছে, যার দাম প্রতি ইউনিট পাঁচ রূপি ৪৬ পয়সা। আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির উদ্যোগ চলছে।