বড়পুকুরিয়ার জন্য কয়লা আমদানি হচ্ছে!

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করতে কয়লা আমদানি করতে যাচ্ছে সরকার।
শনিবার বিদ্যুৎ ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন বিদ্যুৎ সচিব আহমদ কায়কাউস।
আজ শনিবার বিদ্যুৎ ভবনে ‘বিদ্যুৎ খাতের প্রশিক্ষণ নীতিমালা চূড়ান্তকরণে’র’ কর্মশালা এবং ‘নেট মিটারিং নির্দেশিকা ২০১৮’ – এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের একথা বলেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব। এসময় প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম ও বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ উপস্থিত ছিলেন।

বিদ্যুৎ সচিব বলেন, প্রয়োজনে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে কয়লা আমদানি করে রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
আমদানির বিষয় পর্যালোচনা করতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রর প্রয়োজন মত উন্নত কয়লা আনা হবে। প্রতিবেশি ভারতে সহজে এমন উন্নত কয়লা পাওয়া যাবে না। অস্ট্রেলিয়া ও ইন্দোনেশিয়াতে যোগাযোগ করা হয়েছে।

সচিব বলেন, ঈদের সময় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ রাখতে চার/পাঁচদিন বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রাখার মতো কয়লা রেখেই উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছিল। ঈদের সময় সেই কয়লা ব্যবহার করা হবে।
এছাড়া প্রতিদিন ১০০ টন করে কয়লা খনির মজুদাগার থেকেও পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী।
খনির নতুন গুহা থেকে পুরোদমে কয়লা উত্তোলন শুরু হতে এক থেকে দেড়মাস লেগে যাবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

বিশ্বের যেসব খনিতে উন্নতমানের কয়লা পাওয়া যায় তার মধ্যে দিনাজপুরে বড়পুকুরিয়া অন্যতম। এই কয়লায় সালফার রয়েছে দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং ছাইয়ের পরিমাণ ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ। এছাড়া ক্যালোরিফিক ভ্যালু (কতটা তাপ তৈরি করে) ছয় হাজারের বেশি।

কয়লা উধাও তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ধৈর্য ধরুন। সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এটার উপর নির্দেশ দিয়েছেন। এর ব্যবস্থখা হবে।

এদিকে বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হলেও রংপুর অঞ্চলে খুববেশি বিদ্যুতের সমস্যা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ঠরা দাবি করেন।