ভারত থেকে ২২০০ টন ডিজেল আমদানি

ভারত থেকে দুই হাজার ২০০ মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করল বাংলাদেশ। শনিবার দিনাজপুরের বিরল সীমান্ত দিয়ে ৪২টি তেলের ওয়াগন বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ভারতের রাধিকাপুর থেকে বাংলাদেশের দিনাজপুরের বিরল স্থলবন্দর রেলস্টেশন পর্যন্ত নতুন এই রেলরুটের উদ্বোধন করা হয়।
শনিবার সকালে ভারতে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই তেল আমদানির উদ্বোধন করেন। সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে ভারত, নেপাল, ভুটান এবং মিয়ানমারে রেলপথে বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহনের চুক্তি অনুযায়ী দিনাজপুরের বিরল সীমান্ত দিয়ে ডুয়েলগেজ রেলপথে আনুষ্ঠানিকভাবে পণ্য পরিবহন শুরু হলো।
শনিবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে ট্রেনটি বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নুমালীগড় তেল রিফাইনারি ডিপো থেকে তেল নিয়ে ট্রেনটি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) দিনাজপুরের পার্বতীপুর তেল ডিপো পর্যন্ত যায়। এর আগে সকাল ৮টার দিকে ওয়াগনগুলোকে নিয়ে আসতে বাংলাদেশ থেকে একটি ইঞ্জিন ভারতে প্রবেশ করে।
বিপিসি জানায়, গত বছর মার্চে ২ হাজার ২০০ মেট্রিক টন ডিজেলের চালান দিনাজপুর দিয়ে বাংলাদেশে আমদানি করা হয়। জ্বালানি তেল আমদানির জন্য ২০১৫ সালের এপ্রিলে ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) মধ্যে ১৩৯ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, এনআরএলের শিলিগুড়ি মার্কেটিং টার্মিনাল থেকে পার্বতীপুর বিপিসি ডিপো পর্যন্ত ইন্দো-বাংলা ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন স্থাপিত হবে। তবে পাইপলাইন স্থাপনের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত রেল অয়েল ট্যাঙ্কারে করে তেল আনা হচ্ছে।
চলতি বছরের ৮ মার্চ ভারত থেকে ৪২টি ওয়াগনে ২ হাজার ৪৭২ মেট্রিক টন পাথর নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে একটি ট্রেন বাংলাদেশে আসে। পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের সুবিধার্থে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের রাধিকাপুরের সঙ্গে বাংলাদেশের দিনাজপুরের পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশন (স্টেশন) ইতিমধ্যে ডুয়েল গেজ রেলপথ সম্প্রসারণ কাজ শেষ করা হয়।
ভারতের রাধিকাপুর পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রেলপথটি ব্রিটিশ আমল থেকে ভারত হয়ে নেপালের সঙ্গে ট্রানজিট কার্যক্রম চালু ছিল। কিন্তু ২০০৫ সালে ভারতের অংশের রেলপথ ব্রডগেজে রূপান্তরিত করায় তা বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে বাংলাদেশের অংশে পাবর্তীপুর থেকে বিরল সীমান্ত পর্যন্ত রেলপথ ডুয়েলগেজে রূপান্তরিত হয়েছে। দীর্ঘ ১২ বছর পর আবারো এই রুটে ট্রেন চালু করা হলো।
এখন থেকে এই রেলপথে জ্বালানি তেল, পাথরসহ সব ধরনের পণ্য পরিবহনের ফলে দুই দেশের মধ্যে পণ্য পরিবহন খরচ কমবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।