মাসে ৯ কোটি ঘনফুট গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার হচ্ছে

অবৈধ গ্যাস ব্যবহার বাড়ছে। দেশে প্রতিমাসে অবৈধভাবে ব্যবহার হচ্ছে প্রায় নয় কোটি ঘনফুট গ্যাস। বেআইনি বিতরণ লাইনের মাধ্যমে এই গ্যাস ব্যবহার হচ্ছে।
আজ বুধবার সংসদ অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম এ মালেকের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বেগম আখতার জাহানের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সাল নাগাদ
১০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস আমদানি করা হবে। তখন সংকট কিছুটা কমবে। এর মধ্যে এপ্রিল নাগাদ ৫০ কোটি এবং অক্টোবর নাগাদ আরও ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সাধারণভাবে নতুন গ্যাস সংযোগ দেয়া বন্ধ আছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর বিদুৎ ও জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে গঠিত বিশেষ কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে সীমিত আকারে গ্যাস সংযোগ কার্যক্রম চলমান আছে।

একই সংসদ সদস্যের অপর প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, সরকারি পর্যায়ে এলপি (লিকুইড পেট্রোলিয়াম) গ্যাসের সাড়ে ১২ কেজি ওজনের সিলিন্ডারের মূল্য ৭০০ টাকা আর বেসরকারি কোম্পানিগুলোর সিলিন্ডারের মূল্য ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা।

সংসদে জাসদের লুৎফা তাহেরের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাসাবাড়িতে পুনরায় গ্যাস সংযোগ চালু করার পরিকল্পনা সরকারের নেই। কারণ পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস দেওয়া অনেক ব্যয়বহুল, তাই আমরা আবাসিক খাতে এলপিজি গ্যাস ব্যবহারকে উৎসাহিত করছি।  তিনি বলেন, পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ ব্যয়বহুল হওয়ায় সরকার আবাসিক খাতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। ইতিমধ্যে দেশের ৭৫ শতাংশ এলাকা এলপিজির আওতায় চলে এসেছে।