রামপালে একটিই বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে আর নয়, অবকাঠামোতেও নিষেধ

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী বীর বিক্রম বলেছেন, রামপালে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে ইউনেস্কোর আপত্তি নেই। তবে নতুনভাবে পরিবেশ সমীক্ষা না করে রামপালে দ্বিতীয় ইউনিট করা যাবে না। একই সাথে রামপালের আশপাশে বড় কোন অবকাঠামো করা যাবে না।
পোল্যান্ডে ইউনেস্কোর বৈঠক থেখে ফিরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।আজ বিদ্যুৎভবনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, পরিবেশ সচিব ইশতিয়াক আহমেদ, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সুন্দররক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দা দেয়া হয়েছে।
তৌফিক ই ইলাহী বলেন, রামপালে বিশ্বের সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হবে। এটি শুধু বিদ্যুৎকেন্দ্র নয়, এটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যও জরুরি। বৈজ্ঞানিকভাবেই সুন্দরবনকে রক্ষা করা হবে। তার জন্য যা যা করা করব। এই বিষয়গুলো ইউনেস্কোর অধিবেশনে উপস্থাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশের হয়ে এই তথ্য উপস্থাপন করেছে তুরস্ক। ২১ দেশের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির ফিনল্যান্ডসহ ১২টি দেশ বাংলাদেশকে সমর্থন করেছে বলে তিনি জানান। বিভিন্ন বিচার বিশ্লেষণ করে ইউনেস্কো বলেছে, রামপালে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে কোনো বাধা নেই। তবে তিনি জানান, ইউনেস্কো পরিবেশ অক্ষুন্ন রাখতে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, তবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপনের পাশাপাশি ওই এলাকায় এই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের ফলে কি ধরনের পরিবেশের প্রভাব পড়বে তা বিবেচনা করতে স্ট্রেটিজিক এনভায়রনমেন্টাল এসেসমেন্ট করার কথা বলেছে ইউনেস্কো। তাদের আগ্রহের পাশাপাশি বাংলাদেশও চায় এ ধরনের সমীক্ষা হোক। তাই সমীক্ষা করা হবে। এই সমীক্ষার পাশাপাশি সেখানে কিভাবে শিল্পায়ন করা হবে তার জন্য একটি নীতিমালা করার কথা ভাবছে সরকার। এমনভাবে কাজগুলো করতে হবে যাতে করে মানুষের উন্নতি হয় কিন্তু পরিবেশের কোনো ক্ষতি না হয়। তিনি জানান, এছাড়া সুন্দরবনের আশেপাশের নদীগুলোর পানি যাতে দূষিত না হয় সেজন্য পানির প্রবাহ স্বাভাবিক রাখার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে নদীগুলোতে ড্রেজিং করা হবে।
তিনি বলেন, এসব কাজ করার পর আগামী অধিবেশনে এই তথ্যগুলো উপস্থাপন করা হবে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা  গেলেও আপাতত এই দ্বিতীয় ইউনিটটি স্থাপন করা যাবে না। তিনি বলেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের আগেই ইআইএ (পরিবেশ সমীক্ষা) করা হয়েছিল। যার প্রেক্ষিতেই পরিবেশ অধিদপ্তর এই কেন্দ্র করার জন্য ছাড়পত্র দেয়। এখন নতুন করে সমীক্ষা করা হচ্ছে ইউনেস্কোর আগ্রহে। যা বাংলাদেশের জন্য খুবই দরকার ছিলো।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শুধু রামপাল নয় পুরো সুন্দরবনের সুরক্ষায় প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দও দেয়া হচ্ছে।