রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে অতি উদ্বেগ কাম্য নয়: হাছান মাহমুদ

পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে কেউ কেউ পরিবেশের ক্ষতির আশঙ্কা করলেও ঝুঁকি নিরসনে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে সুন্দরবনের ক্ষতি হবে না। তাই এ নিয়ে অতি উদ্বেগ কাম্য নয়।
শনিবার এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে পরিবেশ সুরক্ষা বিষয়ক এক ছায়া সংসদ বিতর্ক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশকে পরাজিত করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, রোকেয়া পারভিন জুঁই ও ড. এস এম মোর্শেদ।

hasan mahmud-energybangla
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশকে পরাজিত করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বিজয়ী হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, উত্তর আমেরিকা, জার্মানী ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বনাঞ্চলের পাশে বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে এবং সেখানে জীববৈচিত্র্যের কোন ক্ষতি হচ্ছে না। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষেত্রে আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল পদ্ধতি ব্যবহার এবং গরম পানি রিসাইক্লিং ব্যবস্থার কারণে পরিবেশগত বিপর্যয়ের কোন ঝুঁকি নেই।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক যে রীতি আছে তাতে ১০ কিলোমিটার দূরত্বে এ ধরনের প্রকল্প করা যেতে পারে। বাংলাদেশে এটি ১৪ কিলোমিটার দূরে। আর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ থেকে ৬৯ কিলোমিটার দূরে। কয়লাবাহী জাহাজগুলো হবে কাভার্ড জাহাজ তাই এতে বাতাস দূষণ হবে না। ফ্লাই অ্যাশ ক্ষতি করবে না।