লুব্রিক্যান্টস ও ট্রান্সফর্মার অয়েল উৎপাদনে নতুন প্রযুক্তি

লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড লুব্রিক্যান্টস ও ট্রান্সফর্মার অয়েল উৎপাদনে নতুন দুটি প্রযুক্তি এনেছে বাংলাদেশে। ন্যানো ও নিনাস নামের পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি দুটি যথাক্রমে ট্রান্সফার্মার ও ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সক্ষম। এ প্রযুক্তির ব্যবহার বাংলাদেশে এটাই প্রথম বলে দাবি করছেন উদ্যোক্তারা।

বিএনও ব্র্যান্ড বাজারজাত করা এ কোম্পানি সুইডেনের ট্রান্সফরমার তেল প্রযুক্তি ‘নিনাস’ এবং ফিনল্যান্ড থেকে ‘ন্যানো’ প্রযুক্তি ইঞ্জিন লুব্রিক্যান্টস চালু করেছে।
রোববার রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলে লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড আয়োজিত ‘বাংলাদেশের লুব্রিক্যান্ট এবং বিদ্যুৎ খাতে সাশ্রয়ী ও পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি’ বিষয়ক সেমিনারে এই দুই প্রযুক্তি উদ্বোধন করে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সুইডেন অ্যাম্বাসেডর চারলোটা স্কালাইটার, বুয়েটের কেমিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ইজাজ হোসেন। লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে সেমিনারে এ খাতের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বিডার চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির ক্রমেই বিকাশ হচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে এ দেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। এর জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেটা হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি। আশাকরছি লুব-রেফ বাংলাদেশ যে নতুন প্রযুক্তি এনেছে তা অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতা করবে।
বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ২০ হাজার মেঘাওয়াট ছাড়িয়েছে উল্লেখ করে আমিনুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান উৎপাদন ও চাহিদা বৃদ্ধিও কারণে এই সংক্রান্ত লুব অয়েলের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের অর্থনীতির বিকাশের কারণে যে কোনো ধরণের পণ্যের চাহিদাও বৃদ্ধি পায়। লুব অয়েল তাদের মধ্যে একটা।
ন্যানো-টেকনোলজিতে উৎপাদিত লুব্রিকেন্টস ব্যবহারে ইঞ্জিনের পারফরম্যান্স বৃদ্ধি, ৫ শতাংশেরও বেশি তেল খরচ হ্রাস এবং পরিবেশের উপর ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে সাহায্য করবে বলে দাবি প্রতিষ্ঠানটির। পাশাপাশি নিনাস নামের লুব্রিকেন্ট উৎপাদন করা হচ্ছে ট্রান্সফরমারে ব্যবহারের জন্য। একটানা ৫০ থেকে ৬০ বছর ব্যবহারের পর শোধনের মাধ্যমে ১০০ ভাগ তেলই আবারও ব্যবহারের উপযোগী করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, দেশে শিল্প কারখার স্থাপনের হার বাড়ছে। তাই এই খাতের চাহিদার কথা বিবেচনা করে নতুন প্রযুক্তি দুটো আনা হয়েছে। এটা পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী, যা ৫০ বছর পর্যন্ত ব্যবহার করার যাবে। আবার পূন:ব্যবহারযোগ্য বলে তিনি জানান।
লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান পেট্রোকেমিক্যাল ও লুব্রিক্যান্ট শিল্পে তাদের প্রায় চার দশকের অভিজ্ঞতা। স্থানীয় প্লান্টে বিশ্বমানের লুব্রিক্যান্ট প্রস্তুত করে এরই মধ্যে বাজারের আস্থা অর্জন করেছে লুব-রেফের ব্র্যান্ড বিএনও। এরই ধারাবাহিকতায় পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো অটোমোটিভ, সিমেন্ট, টেক্সটাইল, স্টিল, পেট্টোকেমিক্যাল, ফার্মাসিটিউক্যালস, এগ্রিকালচার, ইন্জিনিয়ারিং কোম্পানি, ফিলিট অর্নার এবং অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি সমন্বিত পন্য উৎপাদন।