শিল্পে গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণা এসপ্তাহেই!

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) শিল্প, বিদ্যুৎ ও সিএনজিতে ব্যবহার করা গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিতে যাচ্ছে।  বিতরণ কোম্পানিগুলো আসাবিক ও বাণিজ্যিক ভোক্তাদের গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়নি। তাই তা বাড়বে না।
বিইআরসি সদস্য আব্দুল আজিজ খান এনার্জি বাংলাকে বলেন, গণশুনানী শেষে ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে নতুন দাম ঘোষণার নিয়ম আছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই সেই বাধ্যবাধকতা শেষ হবে। তিনি বলেন, কমিশন মূল্যহার নিয়ে কাজ শেষে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। ভোক্তাদের দাবি ও গণশুনানি-পরবর্তী বিতরণ কোম্পানিগুলোর তথ্যাদি বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহি চৌধুরী বীর বিক্রম এনার্জি বাংলাকে বলেন, কমিশনের কাছে আমাদের পরামর্শ হল সহনীয় পর্যায়ে রেখে পর্যায়ক্রমে জ্বালানির দাম বাড়ানো। এলএনজি এসেছে। এখন জ্বালানির দাম বাড়াতেই হবে। এক্ষেত্রে ভোক্তাদের মিতব্যয়ী হয়ে সাশ্রয় ও খরচ কমাতে হবে।
তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জন্য পেট্রোবাংলার প্রতিবছর দুইশত কোটি ডলার প্রয়োজন। এই অর্থের যোগান দিতে ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে।
এরআগে ২০১৭ সালের মার্চ ও জুনে দুই দফায় গ্যাসের দাম ২২ শতাংশ বাড়ায় বিইআরসি।
প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম গড়ে ৭৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় বিতরণ কোম্পানিগুলো। ১১ থেকে ২১শে জুন গ্যাসের দাম বাড়ানোর শুনানী হয়।
বিতরণ কোম্পানিগুলো আলাদা আলাদা প্রস্তাব দিলেও একই হারে বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহার করা গ্যাসের দাম প্রতি ইউনিট তিন টাকা ১৬ পয়সা থেকে নয় টাকা ৪৮ পয়সা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। সার কারখানার গ্যাসের প্রতি একক দাম দুই টাকা ৭১ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১২ টাকা ৮০ পয়সা, শিল্প-কলকারখানায় সাত টাকা ৭৬ পয়সা থেকে ১৪ টাকা ৯০ পয়সা, সিএনজির দাম প্রতি একক ৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৮ টাকা করার আবেদন করে বিতরণ কোম্পানিগুলো।
এছাড়া ক্যাপটিভ পাওয়ারে গ্যাসের দাম প্রতি একক নয় টাকা ৬২ পয়সা থেকে ১৬ টাকা এবং চা বাগানে সাত টাকা ৪২ পয়সা থেকে ১২ টাকা ৮০ পয়সা করার প্রস্তাব দিয়েছে কোম্পানিগুলো।