শিল্পে চলছে গ্যাস সংকট

শিল্পাঞ্চলে গ্যাস সংকট চলছেই। বিশেষ করে রাজধানীর আশপাশে গাজীপুর, আশুলিয়া, টঙ্গী ও সাভারের শিল্প-কারখানায় প্রয়োজনীয় চাপে থাকছে না।
গ্যাস সংকট নিয়ে পেট্রোবাংলার সঙ্গে বৈঠক করেছে তিতাস।  পেট্রোবাংলা বলছে, সপ্তাহখানেকের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
পেট্রোবাংলা ও তিতাস গ্যাস সূত্রে জানা গেছে, উৎপাদন কমে যাওয়ায় গ্যাস সংকট হচ্ছে। ফলে শিল্পে গ্যাস সরবরাহ কমে গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, তিতাস ও ফেঞ্চুগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্রের দুটো কূপের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এ জন্য প্রায় ছয় কোটি ঘনফুট গ্যাসের উৎপাদন কমেছে। গত মাসের শেষদিকে এ দুই কূপের উৎপাদন বন্ধ হয়। এখন চলছে সংস্কারের কাজ। এ ছাড়া কয়েকটি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ করায় শিল্প খাতে গ্যাসের সমস্যা হচ্ছে।
তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর মসিউর রহমান বলেন,  ২০ কোটি ঘনফুট গ্যাস কম ছিল। গত কয়েক দিন ধরে আরও ১০ থেকে ১২ কোটি ঘনফুট গ্যাস কম পাওয়া যাচ্ছে। মঙ্গলবার পেয়েছেন ১৫৮ কোটি ঘনফুট গ্যাস, যেখানে চাহিদা প্রায় ১৯০ কোটি ঘনফুট। ফলে গ্যাস সরবরাহে সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে টঙ্গী ও গাজীপুরের শিল্প-কারখানায় সমস্যা প্রকট। বিষয়টি নিয়ে পেট্রোবাংলার সঙ্গে গতকাল বুধবার বৈঠক হয়েছে। তাদেরকে সমস্যার কথা জানানো হয়েছে। শিল্প মালিকরা গ্যাস পাচ্ছেন না। তারা বারবার ফোন করে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে বলছেন। তিনি অভিযোগ করেন, পেট্রোবাংলা ক’দিন আগেও এমন আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু সমাধান হয়নি, বরং গ্যাসের সরবরাহ কমেছে।
চলমান গ্যাস সংকটের কবে নাগাদ উন্নতি হতে পারে- জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন) জামিল এ আলিম  জানান, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সংস্কারে থাকা তিতাস ও ফেঞ্চুগঞ্জের দুই কূপ উৎপাদনে এলে গ্যাস সরবরাহ বাড়বে। তখন পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে আসবে।
সাভার ও আশুলিয়ার একাধিক গার্মেন্ট মালিক জানিয়েছেন, গত ১০ দিন গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির বেশি অবনতি হয়েছে। কারখানা প্রায় সারাদিন বন্ধ থাকছে। শ্রমিকরা অনেকটা বেকার সময় কাটচ্ছে।