সবুজ দেশ গঠনে তরুন প্রজন্মকে অন্তর্ভুক্ত করার আহবান

প্রধানমন্ত্রী জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, সাধারণ শক্তির উৎস সীমিত হওয়ায় আমাদের বিকল্প শক্তির উৎস তথা নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারে নজর দিতে হবে। অভিভাবক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা তরুন শিক্ষার্থীদের নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারে উৎসাহিত করে আরো সবুজতর বাংলাদেশ গঠনে অবদান রাখতে পারেন।
বাংলাদেশ সোলার এনার্জি সোসাইটির সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শক্তি ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে চার দিনব্যাপী ১৭তম জাতীয় নবায়নযোগ্য শক্তি ও গ্রিন এক্সপো-১৭ শুরু হয়েছে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধনের সময় তিনি এ কথা বলেন। এবারে প্রদর্শনীর মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য শক্তির জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ২০১৭-২০৫০’।
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সোলার এনার্জি সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মো.  ইব্রাহীম, ঢাবি শক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. সাইফুল হক, জার্মানির ম্যাথিয়াস গেলবার, ফরমানুল ইসলাম, মো. হেলাল উদ্দিন, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার এবং ড. এস এম নাসিফ শামস।
তৌফিক ই ইলাহী বলেন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উৎপাদন ও জ্বালানিখাতে যুগান্তরকারী সফলতা অর্জন করেছে। এক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে। জ্বালানি ও বিদ্যুৎখাতে অপচয় রোধে সবার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন দরকার বলে তিনি অভিমত দেন।
সম্মেলনে বক্তারা পরিবেশবান্ধব হওয়ায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার বাড়ানোর ওপর জোর দেন। দেশে নবায়নযোগ্য শক্তির যোগান সীমাবদ্ধ উল্লেখ করে এ বিষয়ে সরকারকে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেয়ার পরামর্শ দেন তারা।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, নবায়নযোগ্য শক্তির গবেষণায়, উন্নয়নে ও প্রসারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শক্তি ইনস্টিটিউট অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। জ্বালানি ও বিদ্যুতের অপচয় রোধের উপর গুরুত্বারোপ করে উপাচার্য বলেন, বিশ্বে আজ শক্তির সংকট। জ্বালানি ও বিদ্যতের ব্যবহার প্রতিনিয়ত বাড়ছে। তাই টেকসই সৌরশক্তি প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং ব্যবহার নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
বিএসইএস সভাপতি মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারে বিশ্বের সর্বশেষ প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন উপস্থাপনের পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ে বিশেষ কর্মসুচীর মাধ্যমে তরুন শিক্ষার্থীদেরকে সবুজ আন্দোলনে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সম্মেলনের প্রথম দিনের বিকেলে দুটি ভিন্ন অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এবং ঢাকা (দক্ষিন) মহানগরের মেয়র সাঈদ খোকন।
সেমিনারে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিশ্বের প্রথম ১০টি সবুজ পোশাক কারখানার মধ্যে ৭টি বাংলাদেশের । আমাদের দেশের ৩৯টি কারখানাকে গ্রিন ফ্যাক্টরি হিসেবে তৈরি করা হয়েছ। পর্যায়ক্রমে সকল কারখানাকে সবুজ কারখানা হিসেবে উন্নয়ন করা হবে।