সুন্দরবন রক্ষায় প্রয়োজনে রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে

সুন্দরবন রক্ষায় রামপালের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রতিবাদে যে প্রক্রিয়ায় আন্দোলন করা দরকার তাই করা হবে। গণবিরোধী এ প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে না। প্রয়োজনে রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সেভ দ্য সন্দুরবন ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র -সুন্দরবনের জীববৈচিত্রের ওপর প্রভাব’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন। সংগঠনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. একিউইউএম বদরোদ্দোজা চৌধুরী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে ১ হাজার ৩২০ একর জমির উপর পরীক্ষা নিরিক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু অধিগ্রহণ করা হয়েছে ২ হাজার ৬৪০ একর। ভারত এ প্রকল্পে আর্থিক সহযোগিতা দিচ্ছে। অথচ ভারতের মাটিতে এ প্রকল্পের জন্য অনুমোদন দেয়নি। তিনি বলেন, সরকারের কয়েক জন বিশেষজ্ঞ বলছেন রামপাল প্রকল্পের দূষিত বাতাস সুন্দরবনের দিকে যাবে না। তাহলে কী সরকার বাতাসকেও নিয়ন্ত্রণ করবে? আট্রাসুপার কিবাং সুপার টেকনোলজি ব্যবহার করে যদি পরিবেশ রক্ষা করা যেত তাহলে ভারতে কেন এই প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।
বদরোদ্দোজা চৌধুরী বলেন, এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে যারা কথা বলছেন তারা দেশ বিরোধী বা বিদ্যুৎ বিরোধী নয়। প্রধানমন্ত্রীকে শেষবারের মতো সমীক্ষা চালিয়ে বিষয়টি বিবেচনা করার অনুরোধ করা হচ্ছে। অন্যথায় রাজনৈতিক আন্দোলন ছাড়া বিকল্প নেই। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের সঙ্গে বেশি থাকার দাবি করে। কিন্তু তারা সুন্দরবনের পাশে রামপালে জনবিরোধী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করছে। এবার তাদের প্রমাণ করতে হবে যে, তারা জনবিরোধী কাজে নেই। জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এত কিছু বলার পরও সরকারের কানে ঢুকছে না। আসলে কেউ জেগে ঘুমালে জাগানো যায় না। তবে এ জাগানোর জন্য চেষ্টা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিএনপিকেও জাগানোর দরকার আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।