স্থলভাগে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনে পরামর্শক নিয়োগ

স্থলভাগে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল নির্মাণে পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছে পাওয়ার সেল। এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের কারিগরি বিষয়গুলো দেখার জন্য বেলজিয়ামের কোম্পানি টেট্রাপেল এবং ইনিশিয়াল এনভায়রনমেন্ট এসেসমেন্ট (আইইই) অর্থাৎ পরিবেশের প্রভাব দেখার জন্য ভারতীয় কোম্পানি ইআরএমের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে।
সোমবার বিদ্যুৎ ভবনে পাওয়ার সেল কার্যালয়ে এই চুক্তি সই হয়। এতে টেট্রাপেলের পক্ষে চুক্তি সই করেন টেট্রাপেলের কনসালটেন্ট ও প্রকল্প পরিচালক (গ্যাস ও এলএনজি) ডেভিড লেটন এবং আইইইর পক্ষে নিনা সিং। এ সময় পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেইন, আইএফসির এশিয়া অঞ্চলের প্রধান জেসিকা ফামাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পাওয়ার সেলের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য অভিজ্ঞ কোম্পানিগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো, চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর, কারিগরি বিষয় দেখা এবং স্থান নির্বাচনের কাজ করবে এই পরামর্শক কোম্পানি। প্রাথমিক কাজ হিসেবে আজ মঙ্গলবার কক্সবাজারের মহেশখালীতে যাবে একটি প্রতিনিধি দল। তারা স্থান নির্বাচনের জন্য এলাকা পরিদর্শন করবে এবং আগামী শুক্রবার পর্যন্ত ওই এলাকায় অবস্থান করবে।
জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় সরকার এলএনজি আমদানির চেষ্টা করছে। এই এলএনজি শুধু শিল্পে নয় বিদ্যুৎ উৎপাদনেও ব্যবহার করা হবে। এজন্য নানা দিক থেকেই এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ভাসমান এলএনজি যেমন করা হবে তেমনি স্থলভাগেও এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে করার জন্যই আন্তর্জাতিক পরামর্শক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এই পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনে আরএফপি (অনুরোধপত্র) তৈরি করবে। পাশাপাশি অনুরোধ পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে যেসব প্রস্তাব আসবে সেগুলো যাচাই-বাছাই করবে। একই সঙ্গে এলাকাও নির্বাচন করবে তারা। এই টার্মিনাল থেকে প্রাপ্ত গ্যাস দিয়ে প্রায় তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এদিকে স্থলভাগে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য এরই মধ্যে চারটি কোম্পানি আগ্রহ দেখিয়েছে। ভারতে পেট্রোনেট, জাপানের মিটসুই, যুক্তরাজ্যের শেল এবং চীনের হুয়ানকিং কন্ট্রাক্টিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন (এইচকিউসি)।