২০৩০ সালের মধ্যে ৪৮ টন কার্বন নিঃসরণ: এনার্জি চার্টারে যাচ্ছে বাংলাদেশ

২০৩০ সালের মধ্যে ৪৮ মেট্রিক টন কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ।
রোববার সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্মেলনে এ কথা জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
ইন্টারন্যাশনাল রিনিউয়েবল এনার্জি এজেন্সি (আইআরইএনএ) এ্ই সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশ নিজস্ব সম্পদ দিয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ, পরিবহন ও শিল্প খাতে গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ ১২ মেট্রিক টন কমাবে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক সহায়তা নিয়ে এই নিঃসরণ আরও ৩৬ মেট্রিক টন কমানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ নিজস্ব সম্পদ দিয়ে দুর্যোগ মোকাবিলা করার প্রস্তুতি নিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। কার্বন নিঃসরণ কমানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে উন্নয়ন সহযোগী, অর্থায়ন প্রতিষ্ঠানসহ সকলেল সহযোগিতা প্রয়োজন।
বাংলাদেশের অবস্থা তুলে ধরে নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসারে আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে।
সম্মেলনে যোগ দেয়ার আগে এনার্জি চার্টারের সেক্রেটারি জেনারেল ড. উরবান রুসনাকের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বৈঠকে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক সংস্থা এনার্জি চার্টারের সদস্য হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এতে একদিকে বিনিয়োগ ও ব্যবসায় যেমন বাড়বে, একইভাবে জ্বালানি খাতের বিরোধ নিষ্পত্তিও সহজ হবে। পাওয়া যাবে জ্বালানি সাশ্রয়ী, জ্বালানি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি, অভিজ্ঞতা বিনিময়, গ্রিন ফান্ড   ইত্যাদি সহযোগিতা।