৪৫ হাজার গ্রামীণ গ্রাহক এখনো বিদ্যুৎ সেবার বাইরে

বন্যায় বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) প্রায় ৪৫ হাজার আবাসিক গ্রাহক এখনো বিদ্যুৎ সেবার বাইরে। ২০টি সমিতির (পবিস) প্রায় দুই লাখ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরইবি সূত্র জানায়, বন্যায় এক হাজার ৩০০ ট্রান্সফরমার, তিন হাজার খুঁটি এবং ১৪ হাজার মিটার তার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে প্রায় দুই কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, যেসব এলাকায় বন্যার পানি কমছে সেখানে দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। যেখানে পানি কমেনি সেখানে নিরাপত্তার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ি ক্ষতিগ্রস্ত মিটার, ট্রান্সফরমার, খুঁটি প্রভৃতি সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে সড়ক যোগাযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মালামাল পৌঁছাতে সমস্যা হচ্ছে।
জানা গেছে, বন্যায় এবারে দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁওসহ ১৭-১৮টি জেলায় প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার  এক সপ্তাহের বেশি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন আছে। এসব এলাকায় মিটার পানিতে ডুবে যাওয়া, খুঁটি, ট্রান্সফার নষ্ট হওয়াসহ নানা কারণে বিদ্যুৎ বন্ধ আছে। এখনো যেসব এলাকা পানিতে ডুবে আছে সেখানে বিদ্যুৎ দেয়া যাচ্ছে না।

আরইবির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন জানান, এবারের বন্যায় আরইবির বেশ কয়েকটি পবিস-এর দুই লাখ ২২ হাজার পরিবার ও বাণিজ্যিক গ্রাহক সরাসরি ক্ষতিগস্ত হয়। ধীরে ধীরে অনেকগুলো সংযোগ আবার চালু করা হয়েছে। বন্যার পানি নেমে গেলেই সব সংযোগ চালু হয়ে যাবে। বন্যার শুরুতেই ক্ষয়ক্ষতির এসব তথ্য মন্ত্রণালয়কে জানানো হয় বলে জানান তিনি।

এদিকে দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর এক কর্মর্তা বলেন, অধীনে ২ লাখ ৭০ হাজার গ্রাহক আছে। এরমধ্যে বন্যায় চার হাজার মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশির ভাগ মিটার এ পর্যন্ত চালু করা হয়েছে। যেগুলো মেরামত বাকি রয়েছে সেগুলো অভিযোগের ভিত্তিতে চালু করা হচ্ছে। এ ছাড়া অনেক বিদ্যুতের খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো ঠিকাদারের মাধ্যমে দ্রুত মেরামত করে ফেলা সম্ভব হবে। মেরামতের কাজ চলছে বলে জানান তিনি।

তবে দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২-এর জিএম সন্তোষ কুমার সাহা বলেন, বন্যায় তার এলাকার অধীনে কোনো ক্ষতি হয়নি। বন্যার কারণে কোনো সংযোগ বন্ধ করতে হয়নি। কেবল একটি খুঁটি নষ্ট হয়েছিল, সেটাও মেরামত করা হয়েছে।

এ ছাড়া বন্যার শুরুতে আরইবির বাইরে নর্থ-ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডেরও (নওজোপাডিকো) বেশকিছু গ্রাহক (দিনাজপুর শহর) বিদ্যুৎ সরবরাহের বাইরে থাকে।