৮ মে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনে সমঝোতা বৈঠক

আগামী ৫ মে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল স্থাপনে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা বৈঠক করবে জ্বালানি মন্ত্রণালয়।
গত ২৭ মার্চ টার্মিনাল স্থাপনের আনুষ্ঠানিকভাবে পেট্রোবাংলার কাছে প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি ইউএস এ্যাস্ট্রো অয়েল এ্যান্ড এক্সিলারেট এনার্জি। প্রস্তাবে তারা কিছু শর্ত দিয়েছে। গত ৩০ মার্চ তাদের প্রস্তাব যাচাই বাছাই করে সিদ্ধান্তের জন্য জ্বালানি বিভাগে পাঠায় পেট্রোবাংলা।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আগামী দুই মাসের মধ্যেই এনএনজি টার্মিনাল স্থাপনের বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। চলতি বছরের মধ্যে চুক্তি করা গেলে আগামী ডিসেম্বর মাসের কোম্পানিটি কাজ শুরু করতে পারবে। টার্মিনাল স্থাপনের আলোচনার পাশাপাশি টার্মিনাল থেকে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহের জন্য পাইপলাইনের বিষয়ে শিগগির একটি আন্ত:মন্ত্রণালয় বৈঠক করা হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, শর্ত দেয়ার পাশাপাশি কোম্পানিটি মহেশখালীতে এ ধরণের টার্মিনাল স্থাপন করা যাবে কিনা তা জরিপ করে দেখবে। এতে প্রায় ছয় মাস সময় চেয়েছে তারা।
এক্সিলারেট তাদের প্রস্তাবে, টার্মিনাল স্থাপনের যন্ত্রপাতি আনার বিষয়ে কর ও ভ্যাট দিবে না বলে জানিয়েছে। এছাড়া বড় জাহাজ (মাদার বোট) থেকে ছোটো ছোট জাহাজের (লাইটারেজ) করে এলএনজি বন্দরের আনার ক্ষেত্রেও তারা কোনো ফি দেবে না। মার্কিন কোম্পানিটি প্রস্তাবে বলা হয়, প্রতি ইউনিট (১০০০ ঘনফুট) এলএনজিকে গ্যাসে রূপান্তরে খরচ পড়বে শুন্য দশমিক ৩৯ ডলার। ১৫ বছরে বিনিয়োগ ও লাভ তুলে নিবে কোম্পানিটি। এরপর তারা টার্মিনাল বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করবে।
২০১১ সালে টার্মিনালের জন্য আগ্রহপত্র (ইওআই) চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলে ১০টি আন্তর্জাতিক কোম্পানি আগ্রহ দেখায়। এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি ইউএস অ্যাস্ট্রা ওয়েল এ্যান্ড এক্সিলারেট এনার্জিসহ চারটি কোম্পানিকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করে পেট্রোবাংলা। নানা কারণে তখন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাদের সঙ্গে নতুন করে আলোচনা শুরু করে পেট্রোবাংলা।