আজিমপুরে বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার

আজিমপুর এলাকায় যাত্রা শুরু হলো বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটারের। রাজধানির আজিমপুরের পাঁচ হাজার গ্রাহককে দিয়ে এই যাত্রা শুরু হয়েছে। আগামী চার মাসের মধ্যে আরো পাঁচ হাজার গ্রাহককে প্রিপেইড মিটার দেয়া হবে।
রোববার আজিমপুর অফিসার্স কলোনী কমিউনিটি সেন্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে এই মিটার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ও সেনাবাহিনীর প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ডিজেল প্লান্ট লিমিটেড যৌথভাবে এই মিটার স্থাপনের কাজ করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সভাপতিত্ব করেন বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব তাপস কুমার রায়। ঢাকা -৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম, বাংলাদেশ ডিজেল প্লান্ট লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসিফ আহমেদ আনসারী, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, ডিপিডিসি ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) নজরুল হাসান, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সময়ে বিদ্যুতের কোন উন্নতি হয়নি। তারা শুধু সমালোচনার জন্য সমালোচনা করে। গত পাঁচ বছর সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে কাজ করেছে। এখন যে বিদ্যুতের লোডশেডিং হচ্ছে তা বিতরণ ব্যবস্থার সমস্যার কারণে। এই সমস্যা দূর করতে এখন বিদ্যুৎ সরবরাহ কাজে মনোযোগ বেশি দেয়া হচ্ছে। প্রিপেইড মিটারের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের একধাপ এগিয়ে গেল বলে তিনি মন্তব্য করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাপান বিদ্যুৎখাতে ১৬ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। এবিষয়ে তাদের সাথে আগামী ১৬ই জুন চুক্তি হবে। জাপান বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আসছে। আরো অনেক দেশ আসবে। বাংলাদেশ ও উন্নত দেশ হবে। তিনি বলেন, বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। গ্রাহক যাতে নিরবিচ্ছ বিদ্যুৎ পায় তার জন্য সকল ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, গ্রাহক ভোগান্তি দূর করাই হবে আমার প্রধার লক্ষ্য। তিনি বলেন প্রি-পেইড মিটার চালুর ফলে গ্রাহক ভোগান্তি কমবে, একই সঙ্গে বিদ্যুতের অপচয়ও কমবে। পর্যায়ক্রমে সব বিতরণ কোম্পানির গ্রাহকদের প্রি-পেইেড মিটারের আওতায় আনা হবে।
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য হাজী সেলিম বলেন, এতদিন আমরা বিদ্যুৎ ব্যবহার করে পরে বিল দিতাম। এখন থেকে আগে টাকা দেব তারপর বিদ্যুৎ ব্যবহার করব। এই অবস্থায় এই এলাকায় যেন বিদ্যুতের লোডশেডিং না হয় সে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে রাখা উচিত হবে।
ডিপিডিসি কর্তৃপক্ষ জানায়, দশ হাজার মিটার বসাতে খরচ ধরা হয়েছে ১২ কোটি ৯৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা। পাঁচ হাজার প্রিপেইড মিটার বসানো হয়েছে। আগামী চার মাসের মধ্যে বাকী পাঁচ হাজার বসানো হবে। আগামী পাঁচ বছর মিটার রক্ষনাবেক্ষন ও পরিচালনা করবে সেনাবাহিনী কর্তৃপক্ষ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, প্রি-পেইড মিটারের ফলে গ্রহাক বিদ্যুৎ বিলের হয়রানি থেকে বাঁচবে। লাইনে দাড়িয়ে আর বিদ্যুৎ বিল শোধ করতে হবে না। নিদির্স্ট জায়গা থেকে গ্রাহকের ইচ্ছে মত সময়ে গিয়ে কার্ডে ইচ্ছেমত টাকা ভোরে আনতে পারবে। এতে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে। কমবে সিস্টেম লসও। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ঢাকার সকল গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হবে।