আন্তঃদেশীয় বিদ্যুত গ্রীড ও বাজার তৈরীতে সম্মত

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বিদ্যুতের গ্রীড লাইন স্থাপন এবং বিদ্যুৎ বাজার গড়ে তুলতে একমত হয়েছে। প্রত্যেক দেশের সাথে বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনে সংযোগ থাকবে। যার যখন প্রয়োজন সে তখন বিদ্যুৎ কিনবে অথবা বিক্রি করবে।
বিমসটেক বিশেষজ্ঞ টাস্টফোর্স বৈঠকে প্রত্যেক দেশ এভাবে বিদ্যুতের গ্রীড সংযোগ এবং বিদ্যুৎ বাজার তৈরীতে সম্মত হয়েছে। সোমবার হোটেল সোনারগাঁও হোটেলে বিমসটেক টাস্টফোর্স বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রত্যেক দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। তবে মিয়ানমার থেকে কোন প্রতিনিধি আসেননি। বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমানের রাষ্ট্রদূত বৈঠকে উপস্থিত থাকলেও তিনি কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারেননি। ফলে মিয়ানমারের কারণে বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। তাদের মতামত পাওয়া গেলে এবিষয়ে চুক্তি করা হবে বলে জানা গেছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, বিমসটেকভূক্ত প্রত্যেক দেশের মধ্যে আন্তঃদেশীয় জাতীয় বিদ্যুতের গ্রীড লাইন করা হবে। এতে যখন যে দেশের বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে তখন সে দেশ বিদ্যুৎ কিনতে পারবে। আবার যে ইচ্ছে সে বিক্রি করতে পারবে। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভূটান এই বাজার তৈরীতে সম্মত হয়েছে। মিয়ানমার সম্মত হলে সকল দেশের মধ্যে চুক্তি হবে।
এই চুক্তির আওতায় একদেশের উপর দিয়ে অন্যদেশ বিদ্যুৎ বা অন্য জ্বালানি আদান প্রদান করতে পারবে। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ঠ ঐ দেশ শুধু সঞ্চালন মাশুল পাবে। এতে করে সীমান্ত সমস্যা দূর হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ঠরা।
বিমসটেক এর এই চুক্তি হলে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সহজ হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান।  তিনি বলেন, যে কোন লেনদেনের জন্য পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হতে হবে। এই চুক্তির আওতায় সেই চুক্তি সহজ হবে। চুক্তি হলে এই অঞ্চলে বিদ্যুতের বাজার তৈরী সহজ হবে বলে তিনি জানান।
বৈঠক সূত্র জানায়, আন্তঃদেশীয় বিদ্যুত বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার সকল দেশ একসাথেই বিদ্যুৎখাতের উন্নয়ন করতে সম্মত। ভারত দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের সঙ্গে বিদ্যুত বিনিময়ে সম্মতি দিয়েছে। নেপাল চাইছে বাংলাদেশ সেখানে বিনিয়োগ করুক। বাংলাদেশ ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করছে। আরও করতে আগ্রহী।  ভারতের সঙ্গে যে প্রক্রিয়ায় বিদ্যুতখাতের সম্প্রসারণে কাজ হচ্ছে একই প্রক্রিয়ায় নেপালের সঙ্গেও হবে। নেপালে এখন যে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে তা থেকে বাংলাদেশ আমদানি করবে। আবার নেপাল-বাংলাদেশ যৌথ বিনিয়োগ করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করে সেখান থেকেও বিদ্যুৎ আনা হবে। মিয়ানমারে জল বিদ্যুতের সম্ভাবনা আছে। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ আনতে চাই। মিয়ানমারও দিতে সম্মত। এসব মিলিয়ে একদেশের সাথে অন্য দেশে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই চুক্তি সহায়তা করতে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ঠরা।