আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস আজ

ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকার শব্দ দূষণের মাত্রা ৮৬ ডেসিবল থেকে ১১০ ডেসিবল
পর্যন্তু। কোনো কোনো স্থানে ১১০ ডেসিবলের চেয়েও বেশি। কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ
না করার কারণে বেড়েই চলেছে এই মাত্রা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে
শব্দের স্বাভাবিক মাত্রা হচ্ছে ৪০-৫০ ডেসিবলের মধ্যে। শব্দদূষণ আইন
প্রণয়ন করা হলেও এখন পর্যন্ত কার্যকর করা হয়নি এই আইন। এমনই এক
পরিস্থিতির মধ্যে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস পালিত হতে যাচ্ছে।
প্রতিবছরের মতো এবার পালন করা হবে দিবসটি।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেন্টার ফর হিয়ারিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন’ বা লীগ ফর দ্য
হার্ড অব হেয়ারিং ১৯৯৬ সাল থেকে এই দিনটিকে শব্দ সচেতনতা দিবস হিসেবে
পালন করছে। প্রতিবছরের এপ্রিল মাসের যে কোনো বুধবারকে তারা এই দিবস
হিসেবে পালন করে আসছে। চলতি বছর ২৬ এপ্রিল দিবসটি পালনের ঘোষণা দেয় তারা।
অন্যদিকে ২০০৩ সাল থেকে বাংলাদেশে বেসরকারিভাবে দিবসটি পালন করা হচ্ছে। এ
উপলক্ষে লীগ ফর দ্য হার্ড অব হেয়ারিং যুক্তরাষ্ট্রে এক মিনিট নি:শব্দে
অবস্থান এবং বিনামূল্যে কানের পরীক্ষা ও শোনার যন্ত্র বিতরণ ছাড়াও
বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে শব্দদূষণ সম্পর্কে মতবিনিময় করবে।
বাংলাদেশেও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন
কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করবে।
দিবসটি উপলক্ষে বাপার সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আব্দুল মতিন বলেন,
প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে শব্দদূষণ। শব্দদূষণ মানুষের দেহে সরাসরি ক্ষতি সাধন
করার ফলে মানুষের শ্রবনশক্তি কমে যাওয়া ও হূদরোগসহ বিভিন্ন শারীরিক
সমস্যার সৃষ্টি করছে। শব্দদূষণের ভয়ংকর অবস্থার ফলে ঢাকা শহরের
জনস্তাস্থ্য হুমকির মধ্যে পড়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ২০০৬ সালে
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ আইন প্রনয়ণ করলেও বাস্তবে এর কোনো বাস্তবায়ন নেই। আইন
বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গে রেডিও এবং টেলিভিশনে শব্দদূষণের ক্ষতিকর
বিষয়গুলো তুলে ধরা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোসহ সাধারণ মানুষকে সচেতন
করতে হবে।