আবারও পিএসসি করতে অস্বীকৃতি কনোকো’র

আবারো সাগরের তিন ব্লকে কাজ করবে না বলে জানিয়েছে আমেরিকার কোম্পানি কনোকো ফিলিপস। দীর্ঘ দিন আটকে রাখার পর সাগরের ১২, ১৬ এবং ২১ নম্বর ব্লকে তেল গ্যাস অনুসন্ধান কাজের জন্য উৎপাদন অংশীদারি চুক্তি (পিএসসি) করবে না বলে জানিয়েছে। এখন ওই তিন ব্লকে এককভাবে কাজ করতে চায় স্টেটওয়েল কোম্পানি।
সোমবার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সঙ্গে দেখা করে কনোকো ফিলিপসের একটি প্রতিনিধিদল এই কথা জানায়। এ সময় পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
২০১৪ সালে সাগরের ওই তিন ব্লকের জন্য যৌথভাবে দরপত্র জমা দেয় কনোকো ও স্টেটঅয়েল। তাদেরকে যোগ্য হিসেবে নির্বাচন করা হয়। পরে গত মার্চ মাসে পেট্রোবাংলা কনোকো ফিলিপস্ ও স্টেটওয়েলকে সাগরের ১২, ১৬ ও ২১ নম্বর ব্লকের জন্য উৎপাদন অংশীদারিত্ব চুক্তি (পিএসসি) করার জন্য চিঠি দিয়ে আমন্ত্রন জানানো হয়। কিন্তু তারা চুক্তি না করে সময়পেন করে। এর আগে একবার পিএসসি করেও কনোকো গ্যাসের দাম কম বলে পুরো কাজ শেষ না করে সাগরের ১০ ও ১১ নম্বর ব্লক ছেড়ে দেয়। অন্য আরেকটিতে দরপ্রস্তাব জমা দিলেও শেষ পর্যন্ত পিএসসি করেনি।
পেট্রোবাংলা সূত্র জানায়, কনোকো ফিলিপস্ এর অনুরোধেই প্রথমে নির্ধারণ করা পিএসসির খসড়া সংশোধন করে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। দরপত্র আহবান করার সময় দাম ছিল প্রতি হাজার ঘনফুট চার দশমিক দুই ডলার। তা সংশোধন করে সাড়ে ছয় ডলার করা হয়েছে। পিএসসি করার আমন্ত্রণ পাওয়ার পর অনানুষ্ঠানিকভাবে কনোকো জ্বালানি বিভাগে যোগাযোগ করেছে। তারা চুক্তির আগে গ্যাসের দাম আরও বাড়ানোর তাগিদ দেয়।
ভারত ও মিয়ানমারের মতো গ্যাসের দাম চাই কনোকো। বর্তমানে ভারতে এই গ্যাসের দাম সাড়ে আট ডলার আর মিয়ানমারে নয় ডলার। দাম কম দিলেও কর ও মুসকসহ বিভিন্ন ধরণের ছাড় দিচ্ছে পেট্রোবাংলা।  যা ভারত ও মিয়ানমার দেয় না।
২০১১ সালে সাগরের ১০ ও ১১ নম্বর বক তেল গ্যাস অনুসন্ধানে কনোকো ফিলিপসের সঙ্গে পিএসসি করে পেট্রোবাংলা। দুটি ব্লকে দ্বিমাত্রিক জরিপ করে। পরে পিএসসিতে গ্যাসের যে দাম নির্ধারণ করা আছে তা সংশোধন করে গ্যাসের দাম বাড়ানোর দাবি জানায়। পিএসসি করার পর দাম বাড়ানো সম্ভব নয় বলে ওই দুই ব্লকে আর কাজ করেনি কনোকো। এরপর ২০১২ সালে পেট্রোবাংলা নতুন দরপত্র আহবান করলে একটি ব্লকের জন্য প্রস্তাব জমা দেয়। সে সময় কনোকো মনোনিত হলেও পরে চুক্তি করতে রাজি হয়নি।