আবাসিকে গ্যাস সংযোগ দিতে যতি টেনেছি – অর্থমন্ত্রী

আবাসিক চুলায় গ্যাস ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছে। আবাসিকে নতুন আর কোন গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে না। বৃহস্পতিবার বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী নতুন করে একথা জানালেন। তিনি বলেছেন, ‘ আবাসিকে নতুন কোন গ্যাস সংযোগ দিতে যতি টেনেছি।’
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে গ্যাস ব্যবহার হয় মূলত বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং বিভিন্ন শিল্পের জ্বালানি শক্তি হিসেবে। গৃহস্থালী কাজেও বিভিন্ন শহরে গ্যাস ব্যবহার করা হয়। নীতিগতভাবে একটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে, গৃহস্থালী কাজে ব্যবহারের জন্য গ্যাস সংযোগ দেয়া থেকে বেরিয়ে আসা হবে। আবাসিক খাতে গ্যাস ব্যবহারে দক্ষতা বাড়ানোর জন্য দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রি-পেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম পরীক্ষামূলক চালু করা হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে ঢাকা এবং রশিদপুর শিল্প এলাকায় নিয়মিত গ্যাস সরবরাহ করা হয়। কিন্তু চট্টগ্রাম অথবা উত্তরবঙ্গ বা দক্ষিণবঙ্গে গ্যাস সরবরাহ খুবই সীমিত।
প্রাকৃতিক গ্যাস অত্যন্তমূল্যবান একটি সম্পদ এবং বর্তমানে এর প্রাক্কলিত মজুদ খুবই কম। মোট প্রাথমিক প্রাক্কলিত গ্যাস মজুদের পরিমাণ ৩৮দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। তবে উত্তোলনযোগ্য মজুদের পরিমাণ মাত্র ১৪ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ে বলা হয়েছে, সমুদ্রসীমার মধ্যে গ্যাস অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে। গ্যাস অনুসন্ধান, উত্তোলন, আমদানি, বিতরণ এবং ব্যবহার বিষয়ে একটি সমন্বিত ও দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনা খুবই জরুরি এবং গুরুতপূর্ণ। এলএনজি আমদানির প্রাথমিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভোলায় গ্যাস আবিস্কার হয়েছে এবং এর ব্যবহারের জন্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হবে।
গভীর এবং অগভীর সমুদ্রে অনুসন্ধান উপযোগী ব্লকের সংখ্যা বর্তমানে ২৬টিতে দাঁড়িয়েছে। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। এই খনির উত্তরাংশ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হলে প্রতি বছর ৪-৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন হিসাবে ২৫ বছরে মোট প্রায় ১১০ মিলিয়ন মেট্রিক টন কয়লা উৎপাদন সম্ভব হবে।