আরইবির রংপুর জোনের প্রকৌশলীর আত্মহত্যা
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) রংপুর জোনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু আব্দুল্লাহ আÍহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ঢাকার খিঁলখেতের প্রধান কার্যালয়ের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে তিনি আÍহত্যা করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। নিজের অসুস্থতা এবং সন্তানদের পড়া লেখার জন্য তিনি রংপুর থেকে ঢাকায় বদলি হয়ে আসার চেষ্টা করছিলেন বলে পারিবারিক সূত্রগুলো দাবি করছে। বদলি না হওয়ায় তিনি ক্ষোভে দুঃখে আÍহত্যার পথ বেছে নেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।
আরইবির প্রধান কার্যালয়ের সামনের ভবনের কোন তলা থেকে আবু আব্দুল্লাহ লাফিয়ে পড়েন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ১০ তলা ভবনের প্রত্যেক তলা থেকে লাফিয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। লাফিয়ে পড়ার শব্দ শোনার পর পর আশে পাশের সকলে সেখানে ছুটে যান। বেলা সোয়া ১১টায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। তার গ্রামেরবাড়ি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ। তিনি ঢাকায় বদলি হওয়ার চেষ্টা করেও পারেননি। কয়েকদফা আরইবির চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে বদলীর অনুরোধ করা হলে তার রাখেননি। বিভিন্ন পর্যায়ে বদলীর তদবীর করে তিনি ব্যর্থ হন বলে পারিবারিক সূত্রগুলো দাবি করছে।
গত বছর ২২ মে আবু আব্দুল্লাহকে রংপুর পিবিএস এ বদলি করা হয়। এর আগে ২০ মে তিনি চাকুরিতে পদন্নতি পান বলে আরইবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দিন দাবি করছেন। চেয়ারম্যান বলেন, তার ৩০ বছর চার মাস ২০ তিন চাকুরি জীবনে তিন বছর তিন মাস ১৩ ঢাকার বাইরে চাকরি করেছেন। আবু আব্দুল্লাহ ১৯৮৪ সালের ১০ জুলাই আরইবিতে যোগদান করেন। এরপর ১৯৮৮ পর্যন্ত তিনি ঢাকায় চাকরি করেছেন। এরপর ১৯৮৮ সালের ১৬ আগষ্ট তাকে নোয়াখালি বদলি করা হয়। তিনি এর ঠিক পরের বছর ১১ আগষ্ট আবার ঢাকায় বদলি হয়ে আসেন। এরপর তিনি ঢাকায় ইএনএম, প্রধান প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে কাজ করেন। তাঁকে ১৯৯৭ সালের ১৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে বদলি করা হয়। আবার ঢাকায় ফিরে আসেন ১৯৯৮ সালের ১৯ ফেব্র“য়ারি। এরপর থেকে ঢাকায় চাকরি করছিলেন। তিনি দাবি করেন আবু আব্দুল্লাহ বদলীর জন্য কোন আবেদন করেননি।
আরইবির প্রধান প্রকৌশলী কায়সার আহমেদের নেতৃত্বে ঘটনার তদন্তে চার সদস্যর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আরইবির উপপরিচালক ফজলুল কাদীর বৃহস্পতিবার জানান সন্ধ্যায় লাশ ময়না তদন্তর জন্য ঢামেক মর্গে নেয়া হয়েছে।