ইউনিয়ন করায় পল্লী বিদ্যুতে ১০০ জনের চাকরিচ্যুতের অভিযোগ
শ্রমিক ইউনিয়নে যোগ দেয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি’র প্রায় ১০০ জন শ্রমিক-কর্মচারিকে চাকরিচ্যূত, সাময়িক বরখাস্ত ও অহেতুক হয়রানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। চাকরিচ্যুতদের চাকরি ফিরিয়ে দেয়া এবং অহেতুক হয়রানি না করার দাবি জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে পল্লী বিদ্যুৎ শ্রমিক কর্মচারি লীগ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন কর্মচারী লীগের সভাপতি ও সদ্য চাকরিচ্যুত মো. এনামুল হক। অন্যদের মধ্যে জাতীয় শ্রমিক লীগের দপ্তর সম্পদক দেওয়ান মো. ইউনুস, পল্লী বিদ্যুৎ শ্রমিক কর্মচারি লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, যুগ্ম সম্পাদক তরিকুল ইসলামসহ অন্যরা।
দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলন করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। বলা হয়, আন্তর্জাতিক আইন অনুাযায়ি সকল শ্রমিকের ইউনিয়ন করার অধিকার আছে। সেই অধিকার দিতে হবে। একই সাথে হয়রানি বন্ধ করে সকলকে চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। না হলে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি, সমিতি অফিস ও আরইবি কার্যালয় ঘেরাও করা কর্মসূচি দেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলা হয়, আরইবি চেয়ারম্যানের নির্দেশে শ্রমিক কর্মচারিদের নির্যাতন করা হচ্ছে। গত এক মাসে কোন কারণ ছাড়া ১০০জনকে চাকরিচ্যূত করা হয়েছে। নানা ভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে। অফিসে গেলে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। দুব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি শারিরীকভাবেও কোথাও কোথাও অত্যাচর করা হচ্ছে।
অভিযোগ করে বলা হয়, কর্মকর্তারা আরইবিকে দুর্নীতির আখড়া বানিয়েছে। কম দামের জিনিস বেশি দামে কিনছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পল্লী বিদ্যুৎ শ্রমিক কর্মচারি লীগ জাতীয় শ্রমিক লীগ অনুমোদিত একটি সংগঠন। ২০১৩ সাল থেকে এর যাত্রা শুরু। তবে কোন রেজিষ্ট্রেশন নেই।