একমাসে ত্রিশ হাজার অবৈধ চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন

এক মাসে সারাদেশে ত্রিশ হাজার ৩০টি অবৈধ চুলার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।  এছাড়া ৩টি বাণিজ্যিক, ১টি সিএনজি, ৮২ দশমিক ২২ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস পাইপলাইনও বিচ্ছিন্ন করা হয়। চলতি বছরের মার্চ মাসে তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন এন্ড ট্রান্সমিশন কোম্পানি এ সংযোগ বিচ্ছিন করে।

তিতাস জানায়, অবৈধ সংযোগ বন্ধে নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল কোট পরিচালনা করা হচ্ছে। এর মধ্যে গত মাসে ১৮টি অভিযানের মাধ্যমে এই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। তারা জানায়, সরকারি নিয়ম অনুযায়ি, সারাদেশে সব সিএনজি স্টেশন প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বন্ধ রাখার কথা। কিন্তু সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করে গ্যাস বিক্রি করার দায়ে গত ১৩ মার্চ সাভারের জিরানী বাজার এলাকায় মেসার্স এন এম ফিলিং স্টেশনের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। একই কারণে ২৮ মার্চ গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তার বাংলাবাজার রোডে মেসার্স মা-মনি হোটেল, মেসার্স জননী স্টোর, মেসার্স মান্নান স্টোর-এর অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তিতাস।

তিতাসের ব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মোহম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান জানান, গত ৯, ২২, ২৮ ও ৩০ মার্চ গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ১ ইঞ্চি ও ২ ইঞ্চি  ব্যাসের ৪১ হাজার ৬৭৯ ফুট এবং ১৯ ও ২০ মার্চ নারায়ণগঞ্জ এলাকায় ৩/৪ ইঞ্চি ব্যাসের ১০০ ফুট লাইন লাইন বিচ্ছিন্ন কয়। কোম্পানির বিভাগীয় টিম গত ২, ৫ ও ২৯ মার্চ নরসিংদীর বিভিন্ন এলাকায় ৩/৪ ইঞ্চি ও ১ ইঞ্চি ব্যাসের এক হাজার ৮০৪ ফুট, ৫ মার্চ সাভারের আশুলিয়া এলাকায় ৩/৪ ইঞ্চি, ১ ইঞ্চি ও  ২ ইঞ্চি  ব্যাসের  ২২ হাজার ৯৬৭ ফুট অবৈধ পাইপলাইন অপসারণ করে। গত ৭, ১৬ ও ২৯ মার্চ চন্দ্রর বিভিন্ন এলাকায় ১ ইঞ্চি ও ২ ইঞ্চি ব্যাসের ৩৬ হাজার ৬৯০ ফুট এবং ৬, ৮, ৯ ও ২২  মার্চ টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় ১ ইঞ্চি ও ২ ইঞ্চি ব্যাসের ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৫৮ ফুট পাইপের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এছাড়া ১৩ মার্চ সোনারগাঁও এর বৈদেরবাজার বারদী ও ভবনাথপুর এলাকায় ২ ইঞ্চি ও ৩ ইঞ্চি  ব্যাসের ৪২ হাজার ৬৫৩ ফুটসহ মোট ২ লাখ ৬৯ হাজার ৭৫১ ফুট অর্থাৎ ৮২ দশমিক ২২ কিলোমিটার অবৈধভাবে স্থাপিত গ্যাস পাইপলাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তিতাসের পরিদর্শক দল। এই অভিযানে প্রায় ৩০ হাজার ৩০টি চুলার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে বলে তিতাস জানায়।

তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর মশিউর রহমান বলেন, অবৈধ সংযোগ বন্ধ করার উদ্দেশ্যে তিতাস কাজ করে যাচ্ছে। এই অভিযানগুলোর মাধ্যমে অবৈধ সংযোগ যেমন বন্ধ হচ্ছে তেমনি বৈধ গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহের ক্ষেত্রেও নিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেন, তিতাসের পক্ষ থেকে অবৈধ গ্যাসের লাইন কাটা হলেও সব শেষ করা যাবে না। গ্রাহকদেরও এ বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরী।