এলএনজি আনতে এ মাসেই চুক্তি
তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল স্থাপনে আগ্রহী যুক্তারাসেদ্ব্রর কোম্পানির সঙ্গে অনুসাক্ষর করতে যাচ্ছে পেট্রোবাংলা।চলতি মাসের ২৪ তারিখ এ সাক্ষর হতে পারে।
টার্মিনালে কোন জাহাজ এলএনজি খালাসে দেরি করলে কোম্পানিকে জরিমানা গুনতে হবে।টার্মিনাল স্থাপনের যন্ত্র আমদানি এবং বন্দর ব্যবহারের ক্ষেত্রে কর, ভ্যাট, বোট ফি, জ্বালানি তেলের খরচ দিবে পেট্রোবাংলা।তবে টোল ফি এর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বৃহসিতবার যুক্তরাসেদ্ব্রর কোম্পানি ইউএস এ্যাসেদ্ব্রা অয়েল এ্যান্ড এক্সিলারেট এনার্জির প্রতিনিধিদের সঙ্গে টার্মিনাল স্থাপনের প্রস্তাবে ওপর সমঝোতা বৈঠক করে পেট্রোবাংলা।বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
গত ২৭ মার্চ টার্মিনাল স্থাপনেপেট্রোবাংলার কাছে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেয় কোম্পানিটি।
এক্সিলারেট তাদের প্রস্তাবে, টার্মিনাল স্থাপনের জন্য বিদেশ থেকে যন্ত্র আমদানির বিষয়ে কর ও ভ্যাট না দেয়ার শর্ত দেয়।পেট্রোবাংলা বিষয়টিতে সম্মতি প্রকাশ করেছে।এছাড়া বড় জাহাজ (মাদার বোট) থেকে ছোট ছোট জাহাজে (লাইটারেজ) করে এলএনজি বন্দরে আনার ক্ষেত্রেও পেট্রোবাংলা ফি (বোট চার্জ) এবং জ্বালানি তেলের খরচ দিয়ে দেবে।
জাহাজ থেকে এলএনজি টার্মিনালে সরবরাহ করতে তিনদিন সময় ধরা হয়েছে।এরপর ৩৬ঘন্টা জাহাজ টার্মিনালের কাছে থাকতে পারবে।এই সময়ের মধ্যে যদি গ্যাস সরবরাহের কাজ শেষ করতে না পারে তবে কোমঙ্ানিকে জরিমানা দিতে হবে।এই জরিমানা আন্স্নর্জাতিক বাজার অনুসারে হবে।
মার্কিন কোম্পানি তাদের প্রাথমিক প্রস্টস্নাবে প্রতি ইউনিট (১০০০ ঘনফুট) এলএনজিকে গ্যাসে রূপান্স্নরের খরচ ৩৯ সেন্ট প্রস্টস্নাব করে।কিন্তু গতকালের বৈঠকে এর সঙ্গে তারা মহেশখালীতে যে জরিপ করবে তার খরচ যোগ করে।তারা আরো পাঁচ সেন্ট যুক্ত করে টোল চার্জ নির্ধারণের করার প্রস্তাব দেয়।কিন্তু পেট্রোবাংলা ৩৯ সেন্টের বেশি দেবে না বলে জানিয়েছে।ফলে বিষয়টি মিমাংসা হয়নি।প্রস্তাব অনুযায়ি ১৫ বছরে বিনিয়োগ ও লাভ তুলে নিবে এই কোম্পানি।এরপর তারা টার্মিনাল বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করবে।আট বছরের একটি পুরানো টার্মিনাল আনা হচ্ছে।
এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান হোসেন মনসুর বলেন, চলতি বছরের মধ্যে চুক্তি করা গেলে আগামী ডিসেম্বর মাসের কাজ শুরু করা যাবে।টোল চার্জের বিষয়টি আলোচনা করে সমাধান করা যাবে।গতকালের আলোচনার পর তারা একটি খসড়া চুক্তিপত্র অনুসাক্ষরের জন্য পেট্রোবাংলার কাছে পাঠাবে।পেট্রোবাংলা তাদের খসড়া চুক্তিপত্র যাচাই বাছাই করে একমত হলে আগামী ২৪ মে অনুসাক্ষর করা হবে।গ্যাসের দামের বিষয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনাজির দাম বেশি।কিন্তু বাংলাদেশের জ্বালানি সংকট মোকাবিলা করতে হলে দাম নয়, প্রয়োজন দেখতে হবে।
পেট্রোবাংলা সূত্র জানায়, প্রাথমিক চুক্তির পর সমীক্ষা শুরু হবে।এই সমীক্ষার জন্যই প্রতি ইউনিট রিগ্যাসিফেকশনের খরচ কিছুটা বেড়ে যাবে।আলোচনায়, কোম্পানিকে রিগ্যাসিফিকেশন এর খরচ কমাতে তার জানিয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে প্রতি ইউনিটের রিগ্যাসিফিকেশন এর জন্য ৬৬ সেন্টে চুক্তি করা হয়েছে।সেই তুলনায় বাংলাদেশের দর অনেক কম।
চুক্তির পর ১৮ মাসের মধ্যে টার্মিনালটি এলএনজি আমাদানীর জন্য প্রস্তুত হবে।প্রতিদিন ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস আমদানীর কথা রয়েছে।কাতার থেকে ৫০ কোটি ঘনফুট এলএনজি আনার বিষয়ে আরো আগে সমঝোতা করা হয়েছে।
২০১১ সালে টার্মিনালের জন্য আগ্রহপত্র (ইওআই) চেয়ে বিঞ্জপ্তি দেয়া হয়।তখন ১০টি আন্তর্জাতিক কোম্পানি আগ্রহ দেখায়।এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ইউএস এসট্রা ওয়েল এ্যান্ড এক্সিলারেট এনার্জিসহ চারটি কোম্পানিকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করে পেট্রোবাংলা।
এলএনজিকে গ্যাসে রূপান্তর করে চট্টগ্রামে আনতে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল) মহেশখালী থেকে আনোয়ারা পর্যন্ত ৯১ কিলোমিটার সরবরাহ লাইন স্থাপন করবে।টার্মিনাল নির্মাণ শুরু হলে পাইপ লাইন নির্মাণ কাজ শুরু করবে জিটিসিএল।