এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনে অনুসাক্ষর করতে যাচ্ছে পেট্রোবাংলা
তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল স্থাপনে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি ইউএস এ্যাস্ট্রো অয়েল এ্যান্ড এক্সিলারেট এনার্জির সঙ্গে অনুসাক্ষর করতে যাচ্ছে পেট্রোবাংলা। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় কারওয়ান বাজারে অবস্থিত পেট্রো সেন্টারে এ চুক্তি সাক্ষরিত হবে।
এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান হোসেন মনসুর বলেন, এক্সিলারেটের শর্তগুলো নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই আলোচনা হয়েছে। আলোচনাশেষে আমরা একটি সমঝোতায় পৌঁছেছি। আজ এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য তাদের সঙ্গে একটি অনুসাক্ষর করা হবে।
গত ২৭ মার্চ টার্মিনাল স্থাপনের কোম্পানিটি আনুষ্ঠানিকভাবে পেট্রোবাংলার কাছে প্রস্তাব দেয়। কোম্পানিটি টার্মিনাল স্থাপনের যন্ত্রপাতি আমদানি এবং বন্দর ব্যবহারের ক্ষেত্রে কর, ভ্যাট, বোট ফি, জ্বালানি তেলের খরচ পেট্রোবাংলা দেবে বলে শর্ত দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি বিষয়টিতে সম্মতি প্রকাশ করে কোম্পানিটির সঙ্গে অনুসাক্ষরেরও সিদ্ধান্ত নেয় পেট্রোবাংলা। এরপর এক্সিলারেট অনুসাক্ষর না করে নতুন করে শর্তারোপ করে। মার্কিন কোম্পানিটি তাদের প্রাথমিক প্রস্তাবে প্রতি ইউনিট (১০০০ ঘনফুট) এলএনজিকে গ্যাসে রূপান্তরে খরচ ৩৯ সেন্ট প্রস্তাব করে। অন্যদিকে মহেশখালীতে টার্মিনাল স্থাপনের ক্ষেত্রে অবকাঠামো ব্যয় বাবদ প্রাথমিকভাবে প্রায় ১৩০ মিলিয়ন ডলার ধরা হয়েছে। যদি এই ব্যয় কমে তো গ্যাস রূপান্তরের খরচ ঠিক থাকবে। কিন্তু যদি ১০ শতাংশের বেশি বাড়ে তাহলে গ্যাস রূপান্তরের খরচও তারা বৃদ্ধি করবে বলে নতুন করে শর্ত দিয়েছে। অন্যদিকে তারা মহেশখালীতে যে ফিজিবিলিটি স্টাডি করবে তার খরচও পেট্রোবাংলাকে দিতে হবে বলে জানিয়েছে। এছাড়া কোনো কোম্পানি বাংলাদেশে কাজ করতে এলে তাকে কাজের জামানত হিসেবে পারফরমেন্স গ্যারান্টি (পিজি) দিতে হয়। এক্সিলারেটের নতুন শর্ত হচ্ছে তাদের পাশাপাশি পেট্রোবাংলাকেও পিজি দিতে হবে।
এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, পেট্রোবাংলা কোনো পিজি দেবে না। তবে অন্য বিষয়গুলো তারা বিবেচনা করেছে। বিশ্বের অন্য দেশগুলো কিভাবে এ বিষয়গুলো করে থাকে তা দেখছে। তিনি বলেন, ফিজিবিলিটি স্টাডির অর্থ পেট্রোবাংলাই দেবে।
২০১১ সালে টার্মিনালের জন্য আগ্রহপত্র (ইওআই) চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলে ১০টি আন্তর্জাতিক কোম্পানি আগ্রহ দেখায়। এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি ইউএস অ্যাস্ট্রা ওয়েল এ্যান্ড এক্সিলারেট এনার্জিসহ চারটি কোম্পানিকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করে পেট্রোবাংলা। নানা কারণে তখন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাদের সঙ্গে নতুন করে আলোচনা শুরু করে পেট্রোবাংলা।