করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে লোডশেডিং: প্রতিমন্ত্রী
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সৃষ্ট গ্যাস ও জ্বালানি তেল সংকটে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। তবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান লোডশেডিংয়ের দুর্ভোগ বেশিদিন থাকবে না।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর প্রভাব সব জায়গায় পড়েছে। কোভিড-১৯ এর ধাক্কা যখন সবাই কাটিয়ে উঠছিল, তখনই রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধ পরিস্থিতি সারাবিশ্বকে গভীর এক সংকটে ফেলেছে। এই সংকট শুধু উন্নয়নশীল দেশেই না, অনেক উন্নত দেশেও এর আঁচ লেগেছে। যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানি মার্কেট চরম অস্থিতিশীল করে তুলেছে। আন্তর্জাতিক খাদ্যপণ্যের বাজারও বেসামাল। বৈশ্বিক এই সংকট আমাদেরকেও বিপদে ফেলে দিয়েছে।
নসরুল হামিদ বলেন, আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ১৬০০-১৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন। সেখানে আমরা দিতে পারছি মাত্র ৯০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। এর বেশি গ্যাস আমরা দিতে পারছি না। কারণ, আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হচ্ছে কৃষি ও শিল্পখাতকে। কৃষির জন্য সার অপরিহার্য। সার উৎপাদনেও অনেক গ্যাস দিতে হচ্ছে।
দেশে গ্যাসের চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় এতদিন এলএনজি আমদানি করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু বিদেশ থেকে এখন উচ্চ দামে এলএনজি আমদানি করতে গেলে চাপের মুখে পড়তে পারে দেশের অর্থনীতি। সে আশঙ্কা সম্পর্কে নসরুল হামিদ বলেন, কোভিড-১৯ এর আগে এক ইউনিট এলএনজির দাম ছিল সর্বনিম্ন ৪ ডলার। বর্তমানে সেটা ৪১ ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান লোডশেডিংয়ের দুর্ভোগ বেশিদিন থাকবে না।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর প্রভাব সব জায়গায় পড়েছে। কোভিড-১৯ এর ধাক্কা যখন সবাই কাটিয়ে উঠছিল, তখনই রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধ পরিস্থিতি সারাবিশ্বকে গভীর এক সংকটে ফেলেছে। এই সংকট শুধু উন্নয়নশীল দেশেই না, অনেক উন্নত দেশেও এর আঁচ লেগেছে। যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানি মার্কেট চরম অস্থিতিশীল করে তুলেছে। আন্তর্জাতিক খাদ্যপণ্যের বাজারও বেসামাল। বৈশ্বিক এই সংকট আমাদেরকেও বিপদে ফেলে দিয়েছে।
নসরুল হামিদ বলেন, আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ১৬০০-১৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন। সেখানে আমরা দিতে পারছি মাত্র ৯০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। এর বেশি গ্যাস আমরা দিতে পারছি না। কারণ, আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হচ্ছে কৃষি ও শিল্পখাতকে। কৃষির জন্য সার অপরিহার্য। সার উৎপাদনেও আমাদেরকেও অনেক পরিমাণ গ্যাস দিতে হচ্ছে।
দেশে গ্যাসের চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় এতদিন এলএনজি আমদানি করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু বিদেশ থেকে এখন উচ্চ দামে এলএনজি আমদানি করতে গেলে চাপের মুখে পড়তে পারে দেশের অর্থনীতি। সে আশঙ্কা সম্পর্কে নসরুল হামিদ বলেন, কোভিড-১৯ এর আগে এক ইউনিট এলএনজির দাম ছিল সর্বনিম্ন ৪ ডলার। বর্তমানে সেটা ৪১ ডলার ছাড়িয়ে গেছে।