কাজ না হওয়ায় কর্মকর্তাদের ওপর ক্ষোভ বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর
বিদ্যুতে সময়মতো উন্নয়ন কাজ না করায় কর্মকর্তাদের ওপর ক্ষোভ দেখালেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
আজ শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদের বিদ্যুৎ ভবনে চারটি বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের প্রি-পেমেন্ট মিটারিং ভেন্ডিং স্টেশনের উদ্বোধন করে তিনি পিডিবির কর্মকর্তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ, চট্টগ্রামের প্রধান প্রকৌশলী(বিতরণ দক্ষণিাঞ্চল) প্রবীর কুমার সেনসহ বিউবোর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম নগরে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সব উপকেন্দ্রের তার মাটির নিচে স্থাপনের কাজ দ্রুত শুরু করার তাগিদ দেন।
নসরুল হামিদ বলেন, মাটির নিচে উপকেন্দ্র ও তার স্থাপন প্রকল্প বহুদিন আগের। বারবার বলা হচ্ছে, কিন্তু হচ্ছে না। বলা হচ্ছে পরামর্শক নিয়োগ নিয়োগের কথা। কিন্তু তাও হচ্ছে না। এভাবে চলবে না। চট্টগ্রামে আগামী মাস থেকে পরামর্শক কাজ শুরু করবে। তিন মাসের মধ্যে নকশা দেবে। না হলে এখানকার চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে দেখে নেব।
প্রি-পেইড মিটার স্থাপন বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গত তিন বছরে অনেকবার বলেছি। কিন্তু প্রি-পেইড মিটার লাগাতে আপনাদের অনিহা। তিন বছরে লাগালেন এক লাখ। অথচ গ্রাহক আছে সাত লাখ। আগামী বছরের মার্চের মধ্যে সাত লাখ প্রি-পেইড মিটার দেখতে চাই। প্রি-পেইড মিটার লাগানোর বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা। পাঁচ শতাংশ পদ্ধতি গত লোকসান (সিস্টেম লস) যায় কই? আপনাদের অনীহার কারণটা কী? পাঁচ শতাংশ আপনারা কমাতে চান না? মানুষ কী বুঝবে? এই পাঁচ শতাংশ দুর্নীতি হয়।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পিডিবি অফিসে কোনো গ্রাহক সমস্যা নিয়ে ফোন করলে নির্বাহী প্রকৌশলী ইচ্ছে হলে কথা বলেন, ইচ্ছে না হলে বলেন না। কখনো তাঁর পিয়ন ফোন ধরেন। তিনি বলেন, ‘যে গ্রাহক আপনাকে বিল দিচ্ছেন, তাঁর সঙ্গে আপনার এই ব্যবহার? অথচ তাঁদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বেতন পাচ্ছেন।
তিনি বলেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদহিতিা নিশ্চিত করতে প্রিপেইড মিটরা গুরুত্বর্পূণ অবদান রাখবে।
তিনি বলেন বর্তমান সরকার দুই মেয়াদে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে বিদ্যুতের প্রাথমিক প্রাপ্যতা ও যোগান নিশ্চিত করেছে। এখন সঞ্চালন ও বিতরণের সম্প্রসারণ ও গুণগত মানোন্নয়নে নানামুখী কার্যক্রম চলছে।